মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

গোপালপুরে পুলিশের সামনেই জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে সরিষা মাড়ানোর অভিযোগ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নবধুলটিয়া গ্রামে লীজের জমির ফসল নিয়ে বিরোধের জেরে এক প্রান্তিক চাষীর দুই বিঘা জমির আধা পাকা সরিষা ট্রাক্টর দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে জমির মালিক।

জানা যায়, ওই গ্রামের রুবি বেগমের দুই বিঘা জমি লীজ নিয়ে দুই বছর ধরে ফসল আবাদ করেন একই গ্রামের রায়হান ও রফিকুল। জমিতে এবার হাইব্রিড সরিষা লাগিয়ে ছিলেন। আধা পাকা সরিষা মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ঘরে তোলার কথা। ফলন ভালো হওয়ায় লক্ষাধিক টাকার ফসল পাওয়ার আশা করেছিলেন গরীব দুই চাষী।

প্রান্তিক চাষী রায়হানের অভিযোগ, গতকাল শনিবার সকাল দশটায় রুবি বেগম ও তার স্বামী শামছুল হক থানা পুলিশ নিয়ে গ্রামে আসে। সালিশী বৈঠকের উছিলায় নামমাত্র ক্ষতিপূরণ নিয়ে জমি ছেড়ে দিতে চাপ দেয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পাকা সরিষা তুলে জমি ছাড়ার কথা বলতে না বলতেই রুবি বেগম থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ট্রাক্টর ডেকে এনে সরিষা ক্ষেতে নামান এবং দেড় ঘন্টার মধ্যে জমির আধা পাকা সরিষা ফসল মাটির সাথে মিশিয়ে দেন।

বহু কান্নাকাটি করেও ফসল রক্ষা করতে পারেননি বলে জানান রায়হান।

জমির মালিক রুবি বেগম জানান, তিনি জমির মালিক হলেও আপন ভাই হাফিজুর রহমান এ দুজনকে আমার পক্ষ থেকে মৈখিকভাবে লীজ দিয়েছিল। কিন্তু লীজ মানি তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এ জন্য জমি থেকে বৈধভাবে তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে সফল হইনি। এ জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

পুলিশ এসে তাদেরকে জমি ছেড়ে দিতে বলে। রায়হান কিছু ক্ষতিপূরণ নিয়ে জমি ছেড়ে গেলেও রফিকুল ধারের কাছেও আসছিলনা। তাছাড়া তারা সরাসরি আমার নিকট থেকেও লীজ নেয়নি।

এমতাবস্থায় তারা জমি ছেড়ে না দেয়ায় পুলিশের পরামর্শে ট্রাক্টর দিয়ে সরিষা ফসল ধ্বংস করা হয়।

মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লাভলু জানান, লীজ নিয়ে বিরোধ থাকলেও জমির ফসল ধংস করার অধিকার কারোর নেই। সরিষা ফসল ধ্বংস করার কাজটি সঠিক হয়নি। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা আক্তার জানান, লীজ নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু কোন ফসল ধংস করার অধিকার কারো নেই।

গোপালপুর থানার এসআই শফিউল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিত বিষয়টি নিস্পত্তি করতে পুলিশসহ তিনি ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি পুরো ফয়সালা করতে পারেননি। পুলিশ চলে আসার পরেই জমির মালিক ট্রাক্টর দিয়ে ফসল ম্যাসাকার করেন। এভাবে ফসল ধংস করাটা সম্পূর্ন বেআইনী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights