মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

গোপালপুরে হাড় কাঁপানো শীতের সাথে লড়াই করে মাঠে ছুটছেন চাষীরা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে এখন ঘরের বাইরে বের হওয়া অতি কষ্টের। কুয়াশার দাপট ও হিমেল বাতাসে ঘটেছে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন মানুষ ও প্রাণিকুলের। সভ্যতার উষালগ্ন থেকে কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে চলমান রেখেছেন। হাড় কাঁপানো শীতের সাথে লড়াই করেই টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চাষীরা মাঠে ছুটছেন ধানের চারা রোপণ করতে।

এখানকার কৃষকের প্রধান ফসল বোরো ধানের আবাদ। মাঘের প্রথম সপ্তাহ বোরো ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। সবাই এখন ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও, কৃষকরা ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠেই ছুটছে জালা (ধানের চারা) উঠাতে।

কুয়াশায় ঢাকা ধানের চারা তুলতে কৃষকের হাত ভারি হয়ে আসলেও নেই ছলনা। কেউ নিজের জমিতে, কেউবা দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। ধানের চারা উঠানোর পর তা রোপণ করতে নামতে হচ্ছে, প্রস্তুত করা জমির বরফ শীতল পানিতে।

চতিলা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক আ. রসিদ বলেন, সকালে ধানের চারা তুলতে যেয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে শরীর কাঁপতে থাকে। বাধ্য হয়ে জমি থেকে উঠে বাড়ি চলে আসি। প্রতি বছর বোরো ধান রোপণের সময় এলে এ রকম ঠান্ডা পরে। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়।

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, হাড় কাঁপানো শীতের সাথে লড়াই করে বাধ্য হয়েই মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে হয়। নিজের জমিতে পাওয়া ধান দিয়েই সারাবছর সংসার চলে।

কৃষক হাছেন আলী জানান, আমাদের আবাদ করা ফসলেই দেশের মানুষ বেঁচে আছে, অথচ কৃষকের কোথাও মূল্যায়ন নাই। কৃষকরা যেন সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে ও প্রকৃত চাষীরা সমাজে মূল্যায়ন পায় সেজন্য সরকারের উচিত মাঠের কৃষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, গোপালপুর উপজেলায় এবার চৌদ্দ হাজার পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের সময় ধান রোপণে কৃষকদের আমরা অনুৎসাহিত করি। তবে ধানের চারার বয়স ৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও সমস্যা দেখা দেয়। শৈত্যপ্রবাহের পর ধানের চারা রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়, এই জাতের ধানের চারা রোপণ না করতেও কৃষকদের বলা হচ্ছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights