নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৩ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলা বংশাই নদীতে নেই কোনো পাকা ব্রিজ। এতে মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার বাসিন্দাদের চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন তারা।
বংশাই নদীতে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আসলেও নানা জটিলতায় আজও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ব্রিজ না থাকায় নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে থলপাড়া, বানকাটা, পালপাড়া, সুতানরি, গোবিন্দপুর, বন্যাতলী, গোড়াকি, তেঘুরি, ভাতকুড়া, সোনারচর, পারদিঘী, কাঞ্চনপুর, হিলড়াসহ আশেপাশের ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
এ ছাড়া মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার শতশত লোকজন এই বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভরশীল। জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ঘুরতে হয় ১০ থেকে ১৫ মাইল অতিরিক্ত পথ। ফলে, একদিকে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে, আবার সময়ও বেশি লাগছে।
শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্রিজ না থাকায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এছাড়াও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নদী পারাপারে সমস্যা হচ্ছে।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ফতেপুর ইউনিয়ন অত্যন্ত অবহেলিত। বিশেষকরে, নদী ভাঙনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। তার মধ্যে ফতেপুর বাজারের পূর্ব পাশে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ অতি জরুরি। বিষয়টি স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট তৈরির অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্রিজ নির্মাণ হবে।