নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্য, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সদস্য বিদায়ী মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাককে প্রকাশ্যে ‘পেটানের’ হুমকি দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। একই সাথে, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘কোনো সম্মানী ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অসম্মানজনক উক্তি সভ্য, ভদ্র মানুষ বলতে পারেন না। কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকী যা বলেছেন তা শিষ্টাচার বহির্ভূত ও বিবেক বিবর্জিত। পবিত্র হজ্জ নিয়ে ইতোমধ্যে আপত্তিকর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন এই লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। অনেকেই তার কাছে অসম্মানিত হয়েছেন। মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান তার এই উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তার আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলন করা হবে। দলীয়ভাবে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, সাদিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য অধ্যাপক গোলাম ছামদানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাছির, নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মোতালেব হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সজীবসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
গত ৯ জানুয়ারি কালিহাতী থানা থেকে আটক নিজ কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে থানার সামনের সড়কে সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রেসিয়ামের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। অবস্থানকালে তিনি কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘রাজ্জাককে আমি পেটাব। কত বড় নেতা হইছে। আমার টাকায় লেখাপড়া কইরা, ওয়ান-ইলিভেনে সংস্কারবাদী হইছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলে মাফ করিয়েছি। বেইমানের বাচ্চা ঘুস খেয়ে টাকা হইছে, ও তো আমারে চিনে না।’