মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

ভূঞাপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে নার্সারী করে ভাগ্য বদলেছে ফাতেমার

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেমিপাকা ঘর। সেই ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন ফাতেমা বেগম নামে এক নারী উদ্যোক্তা। ঘরের পাশে রয়েছে তার একটি চা-বিস্কুটের দোকান। পাশাপাশি নার্সারির ব্যবসা করেও তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা।

ফাতেমা বেগমের স্বামী মো. রঞ্জু। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পৌর শহরের শিয়ালকোল ফায়ার সার্ভিসস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।

আগে অন্যের জায়গায় তারা বসবাস করতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বারান্দায় ফাতেমা ফলজ, বৃক্ষ ও সবজির নার্সারি করেছেন। ছোট এ নার্সারিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ প্রজাতের চারা রয়েছে।

ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের বারান্দা ও সামনের (উঠানের) কিছু অংশ ফাঁকা না রেখে চিন্তা করলাম এখানে ছোট পরিসরে একটি নার্সারি করা যায় কি না। পরে স্বামীর সহযোগিতায় নার্সারি করি। প্রথমে অল্প প্রজাতের চারা নিয়ে শুরু করি। বর্তমানে ২০-২৫ ধরণের চারা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন এসব বিক্রি করে প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয়। আগে অভাবের সংসার থাকলেও এখন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছি। সন্তানরা ঢাকায় চাকরি ও রাজমিস্ত্রীর কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও জায়গা না পেলে ভাগ্য বদল হতো না। নার্সারি বড় করার জন্য সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

ফাতেমা বেগমের স্বামী রঞ্জু বলেন, ভূমি ও গৃহহীন থাকায় আগে হতাশায় ভুগছিলাম। পরে ঘরের জন্য আবেদন করলে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন স্যার ও পিইআইও মো. জহিরুল ইসলাম স্যার যাচাই-বাচাই করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ব্যবস্থা করে দেন। এই ঘর উপহার পেয়ে অনেক ভালো রয়েছি।

সরেজমিনে উপজেলা পৌর শহরের শিয়ালকোলের ফায়ার সার্ভিসস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ১২টি পরিবার বসবাস করছেন। এখান কেউ সেলুন দোকান করেছেন, দর্জির কাজ করছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। প্রকল্পের উঠানে সবজি চাষ করেছেন। বসবাসরতরা পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে সুখেই দিনপার করছেন তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের শিয়ালকোল এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২টি পরিবার বসবাস করছে। এর মধ্যে ফাতেমা নামে এক উপকারভোগী নারীকে নার্সারি বাগান করতে উৎসাহ প্রদান করলে তিনি নার্সারি করেন। এসব বিক্রি করে এই নারী উদ্যোক্তা বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু ফাতেমাকেই নয়, তার মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত এখানকার কয়েকজনকে মুদি দোকান, সেলুন দোকান, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরেক নারীকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। এসব বাসিন্দারা এখন সুন্দরভাবে পরিবার নিয়ে দিনপার করছে। ফলে তাদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সেমিপাকা ঘর উপহার হিসেবে প্রদান করে সরকার। যে নারী উদ্যোক্তা হয়ে নার্সারি করেছেন তা প্রশংসনীয়। আশ্রয়ণে যারা বসবাস করছে তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights