নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সম্পত্তির জন্য ছোট ভাই মুকুলকে হত্যা করে তারই সহোদর বড় ভাই সোহেল। এ হত্যায় জড়িত থাকায় বড় ভাই সোহেলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করল টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের টাঙ্গাইল কোর্টে চালান করে দেয়া হয়। হত্যার বিষয়ে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরআগে, রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের পিবিআই কার্যালয়ে এই ক্লু-লেস হত্যার রহস্য উদঘাটন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামির নাম পরেশ চন্দ্র শীল। তিনি দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার দগরবাড়ি গ্রামের মৃত রমনী কান্ত শীলের ছেলে।
মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কালিহাতী উপজেলার পারখী বিল থেকে মুকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সম্পত্তির লোভে পরেশকে সাথে নিয়ে সোহেল এই হত্যা ঘটায়। গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যার পর কোদাল দিয়ে গর্ত করে সেখানে মুকুলের লাশ পুঁতে রাখে। গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর ও ঢাকা থেকে মুকুলের বড় ভাই সোহেল ও তার সহযোগী পরেশ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহমেদ নয়া দিগন্তকে জানান, বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল ও পরেশকে কোর্টে তোলা হয়। তারা দু’জনেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মনিরুল ইসলাম আসামী সোহেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ রোববার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত আসামি পরেশের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।