মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

গোপালপুরে সরকারী চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ফেয়ার প্রাইজের চাল অবৈধ বিক্রি করছে এক শ্রেণির ডিলার। কালোবাজারী বন্ধে ট্যাগ অফিসাররা দায়িত্ব পালন না করায় দুঃস্থ ও গরীবরা বাজারে কম দামের চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার প্রায় ১১ হাজার বিত্তহীন ও দুঃস্থ পরিবার ফেয়ার প্রাইজের চাল কেনার সুযোগ পায়। বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে এ বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকে। মোট ৩০ জন ডিলার এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট দোকান থেকে কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিক্রির কথা। পুরো বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য নিয়মানুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় ট্যাগ অফিসাররা চাল বিক্রির সময় উপস্থিত না থাকায় ডিলাররা অবাধে গরীবের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের গোহাত্রা মোড়ের দোকান থেকে ডিলার রেজাউল মিয়া ফেয়ার প্রাইজের চাল কালাবাজারে বিক্রির সময় উপজেলা প্রশাসন বিপুল পরিমাণ চাল আটক করে।
এলাকার একাধিক ইউপি মেম্বার জানান, ডিলার রেজাউল তিন দিন আগে খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা ৩২৩ বস্তা চাল গোহাত্রা মোড়ের দোকানে উঠিয়ে ট্যাগ অফিসার জহিরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতেই বহিরাগত ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছিল। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাজমুল হাসান আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় এক অভিযান চালিয়ে রেজাউল মিয়ার দোকানের অদূরে তারা মিয়ার ঘর থেকে ২৫ বস্তা চোরাই চাল উদ্ধার করেন।
উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় ডিলার রেজাউলকে অনুরোধ করেছিলেন যেন দুদিন পর চাল বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতেই চাল বিক্রি করায় এসব ঘটছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে চাল বিক্রির নিয়ম নেই। ট্যাগ অফিসার যদি কোন কারণে চাল বিতরণের দিন অনুপস্থিত থাকলে আগে থেকেই স্থানীয় প্রশাসনকে তা অবহিত করার নিয়ম। কিন্তু তিনি সেটি না করায় কালাবাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, বিশেষ বরাদ্দের চাল চুরি বা পাচারকারির কোন ক্ষমা নেই। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights