নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে দেবরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাবীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এ ঘটনায় আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ও দেলদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগকারী নারী জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে দেবর জিয়াউর রহমান জিয়া বিভিন্ন সময়ে তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। জিয়া নান্দুরিয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন ওরফে হাবু মুন্সীর ছেলে। দেবর জিয়ার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তার উপর শারীরিক নির্যাতন ও হয়রানি শুরু করে। ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে জিয়াউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের বাটাম দিয়া এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ ঘটনায় আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দেন ওই ভুক্তভোগী। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাফিজ উদ্দিনের নিকট নোটিশ এলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবীকে কাঠের বাটাম দিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করে। এ সময় তার ৭ বছরের মেয়ে মা’কে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চাচা জিয়াউর রহমান।
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করে। ওইদিনই দেলদুয়ার থানায় দেবর হাফিজুর তার স্ত্রী ও হাফিজুরের চাচাত ভাই সাইফুলকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। আটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন আজাদ বলেন, নান্দুরিয়া গ্রামে দেবর কর্তৃক ভাবী নির্যাতন হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর ২৯শে ফেব্রুয়ারি বিচারের সময় নির্ধারণ করে দেবরকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। শুনেছি দ্বিতীয় দফা নাকি ভাবীকে দেবর মারধর করেছে।