টাঙ্গাইলে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে পৃথকভাবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।
জবানবন্দি শেষে রাত ৯টার দিকে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া সিরাজাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজীব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া ওরফে নুপুর (২৭)।
এর আগে, সকালে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতারপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে এক তরুণী চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে উঠেন। কিন্তু, ভুল করে তিনি উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে উঠে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পারলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন ওই তরুণী। স্টেশনে নেমে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানান।
জিআরপি পুলিশ দুলাল নামের এক অটোরিকশাচালককে ওই তরুণীকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু, দুলাল ওই তরুণীকে ট্রেনে না উঠিয়ে দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে অপর দুজন তাকে ধর্ষণ করে স্টেশনে ফেলে পালিয়ে যান।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ আমাদের সহযোগিতায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।’’
টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘‘এ ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।’’