টাঙ্গাইলের মধুপুরের ফুলবাগচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাহাড়িরা এলাকার বাঘাডোবা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ফুলবাগচালা উচ্চবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাইলাকুড়ি বাজার হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ করে। এ সময় শিক্ষার্থী শিক্ষক পরিচালনা কমিটি অভিভাবকসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ভুয়া দলিলসহ একাধিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করে। এ ব্যাপারে তদন্তও হচ্ছে। তদন্তে কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি দাবি প্রধাান শিক্ষক মাইদুল ইসলামের। এ নিয়ে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে তিনি ২০১৫ সালে যোগদান করেন। সাম্প্রতিক সময়ে নবম-দশম শ্রেণির পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করলে স্কুলের জমির খারিজ করার প্রয়োজন হলে ৭৫ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ জমির দলিল সঠিক নয়, এমন তথ্য পাওয়ার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর সাবেক সভাপতি পলাতক থাকায় বিদ্যালয়ের জন্য নতুন সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়। তবে সাবেক সভাপতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম মাহবুব, সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, আসাদুজ্জামান শিবলী, বুড়াকুড়ি নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশীদ, জমিদাতা তুষার, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার, লাভলু মিয়া ও সাবেক শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। বিদ্যালয়র সভাপতি শামীম মাহবুব বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি আদর্শ বিদ্যালয় করার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারণে হয়ে ওঠেনি। এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল হাসান বলেন, ভুয়া দলিল, নিয়োগসহ কয়েকটি বিষয়ে ডিজি, ডিডি ও ডিওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলের কোনো খবর তিনি জানেন না।