টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহিদুল ইসলাম (৩০) হত্যা মামলায় নাসরিন বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাসরিন বেগম নিহত শহিদুল ইসলামের ‘গোপন’ স্ত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন নিহত শহিদুল ইসলামের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম রংপুর জেলার পীরগাছা থানার তাম্বুলপুর গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে ও গ্রেপ্তার নাসরিন বেগম উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদীঘি গ্রামের আজম খানের মেয়ে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত শহিদুল ইসলামের মুন্নি ও আতিকা নামে আরও দুইজন স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর পক্ষে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান ও দ্বিতীয় স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মির্জাপুরে কর্মরত অবস্থায় কয়েক বছর পূর্বে নাসরিন বেগম নামের ওই নারীকে বিয়ে করেন তিনি। গত প্রায় এক বছর পূর্বে তাকে তালাকও দেন। তালাক দিলেও নাসরিন তাকে স্বামী পরিচয় দিয়ে গোড়াই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। একপর্যায়ে নাসরিন শহিদুলকে তার বাসায় আসতে বারণ করলে নাসরিনের আপত্তিকর কিছু ছবি দেখিয়ে তাকে নিজের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন শহিদুল। মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও একে অপরকে মারধরের ঘটনা ঘটতো। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে শহিদুল নাসরিনের ভাড়া বাসায় আসলে নাসরিন এলাকার কিছু উঠতি বয়সের ছেলে দিয়ে তাকে মারধর করান। মারধরে শহিদুল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শহিদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি বেগম বলেন, আমরা দেশের বাড়ি থাকতাম। তার এই তৃৃতীয় স্ত্রী সম্পর্কে আমরা কেউ অবগত নই। তিনি কাজের প্রয়োজনে বেশির ভাগ সময় এলাকার বাইরেই থাকতেন। নিহতের বোন আলেয়া বেগম বলেন, আমার ভাইকে আমি শনিবার সাড়ে ১১টার দিকে বাসে উঠিয়ে দেই। তার এক ঘণ্টা পর আমাকে সে ফোন করে জানায় যে, মির্জাপুরে নাসরিন নামক এক নারী তার ভাইকে মারপিট করাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তার ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।