মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক!!! টাংগাইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী একাধিক, চমক দেখাতে চায় জামায়াত মধুপুরে মনোনয়নপ্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন টাংগাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ মধুপুরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মধুপুরের পাহাড়ীয়া গড়াঞ্চলে নতুন ধরনের আদা চাষে কৃষকরা আনন্দে চাপড়ী ও গারো বাজারে হোটেলে মোবাইল কোর্ট, ২৩ হাজার টাকা জরিমানা মধুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর মধুপুর মধুপুরে করাতকলে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ৪০ হাজার

মধুপুরে মনোনয়নপ্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। দুঃসময়ে দলের নিপীড়িত ও মামলার-হামলার শিকার নেতাকর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে রাজনীতির বাইরেও একজন মানবিক ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত আজাদ। এ হিসেবে এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান- এমনটাই বলছেন তার সমর্থকরা। বিএনপি’র তৃণমূলও মনে করছেন মনোনয়ন দিয়ে দল তাকে সঠিক মূল্যায়ন করবে।  আজাদের পিতা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ছিলেন জাগো দলের সদস্য এবং গ্রাম সরকারের প্রধান। তার চাচা মরহুম আব্দুর রশিদ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মধুপুর থানা বিএনপি’র সম্মানিত সদস্য। আরেক চাচা মরহুম খোরশেদুল ইসলাম ছিলেন মধুপুর থানা জাসাসের সভাপতি। তার বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনরাও সক্রিয়ভাবে বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত।

দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো তিনিও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালন করে, রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য তারেক রহমানের প্রতিটি নির্দেশনা শহর থেকে গ্রামে পৌঁছে দিতে বিরামহীন ছুটে চলছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় যখন কেউ কথা বলার সাহস পেতো না, দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না সে সময়ও কর্নেল আজাদ ছিলেন সোচ্চার। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়া, তাদের আর্থিক সহযোগিতা এবং মামলার হাজিরার খরচও তিনি বহন করতেন। এজন্য কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও তিনি দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায় হতদরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার সন্তানকে বিয়ের খরচ জুগিয়েছেন, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। অসহায় দরিদ্র প্রসূতি মাকে সন্তান প্রসবের (সিজার) ব্যয় বহন করেছেন। ছিন্নমূল ঘরহীন মানুষের মাথাগোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। অসংখ্য গরিব শিক্ষার্থীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। কর্মজীবনে উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ টাকা ব্যয় করতেন অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা মধুপুর-ধনবাড়ী মানুষের কাছে দানবীর হিসেবে পরিচিত। অবসরেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অনুরোধ রাখতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটাররা বলছেন, মধুপূরে কর্নেল আজাদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ধনবাড়ী উপজেলাতেও রয়েছে তার একচ্ছত্র আধিপত্য। দল তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্নেল (অব.) আজাদ দলীয় সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকেননি, বরং জনসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এলাকার গরিব কৃষকের ঋণমুক্তিতে সহায়তা, যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ তার নিয়মিত কর্মসূচি। তার উদারতা ও বিনয়ী ব্যবহার মানুষকে মুগ্ধ করে। শুধু নির্বাচন সামনে রেখে নয়, বরং সারা বছরই তিনি এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন। তার সাহায্য চেয়ে কেউ খালি হাতে ফেরে না।

মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সংগঠিত করা, যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করতেও তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। সাদামাটা ও স্বচ্ছ জীবনযাপনকারী আজাদ মনোনয়ন পেলে বিএনপি’র অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে দলের তৃণমূল মনে করছেন।

বরাবরই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবখানেই তার উপস্থিতি লক্ষণীয়। রাজনীতির মাঠে তিনি কখনো সহিংসতা বা উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াননি। তিনি বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তি হচ্ছে মানুষের আস্থা অর্জন। এ জন্য তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীবিএনপি নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। প্রবাসীরা মনে করছেন, আজাদের মতো একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সাধারণ ভোটাররা বিএনপি’র প্রতি আস্থা ফিরে পাবে।

নিজের স্বার্থ পূরণ নয়, আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকাই রাজনীতি বলে তিনি মনে করেন। তার এই মূলনীতি জনতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন বাছাইয়ে আজাদকে এগিয়ে রাখার আরেকটি দিক হলো তার সাংগঠনিক দক্ষতা। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী বিভাজন তৈরি করেছেন, সেখানে আজাদ ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সার্বিক বিবেচনায় কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদকে বিএনপি মনোনয়ন দেবে বলে ভোটাররা আশা করছেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102