মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
টাংগাইলে কাজ না বুঝে নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকা অগ্রিম বিল প্রদান আসছে সবুজ খানের প্রথম চলচিত্র “বেহুলা দরদী” মধুপুরে ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত মধুপুর চাপড়ী বহুমুখী গণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ মধুপুরে সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উপজেলা বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে মধুপুরে জাতীয়  বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক!!! টাংগাইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী একাধিক, চমক দেখাতে চায় জামায়াত মধুপুরে মনোনয়নপ্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন টাংগাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ

টাংগাইলে কাজ না বুঝে নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকা অগ্রিম বিল প্রদান

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বুঝে না নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। এরমধ্যে ফরিদপুরের জিন্নাত হোসেন বিশ্বাস নামের এই ঠিকাদারকেই দেয়া হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। আর এই টাকা ভাগ করে নিয়েছেন জামালপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খানসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত জেলা সওজের সিন্ডিকেটের মূলহোতা সুমন এবং মনোজ খান। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সজীব জানান, তাদের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে টাঙ্গাইলের সুমন এবং মনোজ কাজ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতায় ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাউশি-গোপালপুর সড়কের সংস্কার কাজ পায় ফরিদপুরের মো. জিন্নাত হোসেন বিশ্বাস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর এই কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় টাঙ্গাইলের সুমন ও মনোজকে। তবে এই সড়কে কোনো প্রকার কাজ না করেই গত ২৩শে জুন কাজ শেষ দেখানো হয়। এরপর জামালপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নির্দেশে টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের সম্পূর্ণ বিল প্রদান করে দেন। এরপর গত ১লা সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ সমাপ্তির সনদপত্র প্রদান করা হয়। গত ৯ই অক্টোবর সরজমিন গোপালপুর-বাউশি সড়কে দেখা যায়, সড়কের পাশেই আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন কয়েকজন লেবার। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা জানান, গত ৮ই অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছেন তারা। সড়কে মাটি পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত সুরুজ আলী খানসহ কয়েকজন লেবার জানান, বুধবার থেকে তারা এই সড়কে কাজ শুরু করেছেন। তবে ঠিকাদার কে তারা কেউ জানেন না। এ সময় শাহীন নামের এক ব্যক্তি এসে লেবারদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে মানা করেন। ওই সড়কে গত ১০ বছরে কোনো কাজই করা হয়নি। সড়কের পাশের বাড়ির মাহবুবুল ইসলাম তালুকদার জানান, এই সড়কে গত ১০-১২ বছরে কোনো প্রকার কাজ হয়নি। তবে গত ৮ই অক্টোবর থেকে কয়েকজন লেবারকে সড়কের পাশের ময়লা পরিষ্কার করতে দেখতে পাচ্ছেন।

একই চিত্র এলাসিন-দেলদুয়ার সড়কের। এই সড়কেও করা হয়নি কোনো সংস্কার কাজ। তবে ৮৮ লাখ টাকা বিল প্রদান করা হয়েছে মো. জিন্নাত হোসেন বিশ্বাসকে। এ ছাড়া মধুপুর-কালিহাতী সড়কে কোনো প্রকার কাজ না করেই ৯০ লাখ টাকা বিল তুলে নিয়েছে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মির্জাপুর থেকে করটিয়া বাইপাস পর্যন্ত ড্রেনের কাজ না করেই তুলে নেয়া হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। মির্জাপুর সড়কে সিলকোডের কাজ না করেই হাসমত ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুলে নিয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। আর এই সকল কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন সুমন ও মনোজ নামের টাঙ্গাইলের দুই ঠিকাদার। অপরদিকে পাথর ও ইট সাপ্লাই না করেই আত্মসাৎ করা হয়েছে তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে ১৮ লাখ, ১২ লাখ এবং ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া পুরাতন মালামাল বিক্রি নামে টাঙ্গাইলে ২২ লাখ, মির্জাপুরে ২৫ লাখ এবং মধুপুর থেকে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জুন মাসে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদাররা। আর অফিসিয়ালি কাজ শেষ না দেখালে বিল দেয়া সম্ভব হয় না। তাই জামালপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক মনিরুজ্জামানের নির্দেশে নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান জুন মাসে কাজগুলো সম্পন্ন দেখিয়ে বিলগুলো উঠিয়ে রেখেছে। এখন পর্যায়ক্রমে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করবে। জিন্নাত হোসেন বিশ্বাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুজন আহমেদ জানান, আমরা আসলে লাইসেন্স ভাড়া দিয়ে চলি। এ কারণে কোনো কাজ সরজমিন আমরা তদারকি করি না। যারা লাইসেন্স ভাড়া নেন তারাই অফিসের সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ করেন। অফিস কীভাবে কাজ বুঝে না নিয়ে আমাদের বিল প্রদান করলো এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। মধুপুর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ জানান, জুনে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল না দিতে পারলে বরাদ্দ ফেরত পাঠাতে হয়। স্যারেরা ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল প্রদান করেছেন। এখন ঠিকাদাররা ওইসব সড়কের কাজ শুরু করবেন। তবে এই বিষয়ে স্যারেরা আরও ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102