মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক!!! টাংগাইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী একাধিক, চমক দেখাতে চায় জামায়াত মধুপুরে মনোনয়নপ্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন টাংগাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ মধুপুরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মধুপুরের পাহাড়ীয়া গড়াঞ্চলে নতুন ধরনের আদা চাষে কৃষকরা আনন্দে চাপড়ী ও গারো বাজারে হোটেলে মোবাইল কোর্ট, ২৩ হাজার টাকা জরিমানা মধুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর মধুপুর মধুপুরে করাতকলে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ৪০ হাজার

টাংগাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে মশলা জাতীয় ফসল হলুদের আবাদ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এখন সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলুদ চাষে খুব বেশি পরিচর্যা করতে হয় না। গরু, ছাগল কিংবা পোকা-মাকড়ের উপদ্রব নেই বললেই চলে। এমনকি পরিত্যক্ত জমিতেও হলুদ ভালো জন্মে। বাজারে এর চাহিদা বেশি এবং দামও অন্য ফসলের তুলনায় ভালো। ফলে কৃষকরা অন্য ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবেও হলুদের চাষ করছেন।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলার ১২টি উপজেলায় তিন হাজার ২০৮ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঘাটাইলে ১,৪৫৬ হেক্টর, মধুপুরে ৯৮০ হেক্টর এবং সখীপুরে ৩৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা জেলার সর্বাধিক। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এ অঞ্চলগুলোর দো’আঁশ ও বেলে দো’আঁশ লালমাটি হলুদ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

মধুপুর উপজেলায় এ বছর ৯৮০ হেক্টর জমিতে হলুদ রোপণ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর এ উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কৃষকদের ধারণা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার প্রায় ৫৮ কোটি টাকার হলুদ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের চাষি ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক বাজারদর পেলে বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ সম্ভব। আরেক কৃষক বাপ্পি বলেন, “হলুদ চাষে খুব একটা ঝামেলা নেই। সার ও কীটনাশকও কম লাগে। ফলে ঝুঁকি কম, লাভ বেশি।”

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় জাত ছাড়াও উচ্চফলনশীল ডিমলা ও সিন্দুরী জাতের হলুদ বেশি ফলন দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া বারি উদ্ভাবিত বারি হলুদ-৩, বারি হলুদ-৪ ও বারি হলুদ-৫ জাতের চাষেও কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, এবার জেলায় হলুদের বাম্পার ফলনের আশা করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে কৃষকরা উল্লেখযোগ্য মুনাফা করতে পারবেন।

কৃষিবিদদের মতে, ‘মিরাকল হার্ব’ খ্যাত হলুদ শুধু রান্নায় নয়, ঔষধি গুণাগুণের জন্যও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে, যা নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে কৃষি অর্থনীতির পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষায়ও হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102