মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুরে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা অভিযোগে সৎপিতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল আজাদের মতবিনিময় মধুপুরে অ্যাড. মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা   মধুপুরে খাদ্য সংকটে গারো জনপদে বানরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে মধুপুর ফল্টে ভূমিকম্পে কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু মধুপুরে এক প্রতারক গ্রেফতার টাংগাইলের ৪টি আসনে বিএনপির হ-য-ব-র-ল অবস্থা!!! মধুপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের মানববন্ধন মধুপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া–পালটা ধাওয়া ও ভাঙচুর

টাঙ্গাইলে ইফতার জমে না জিলাপি ছাড়া

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পবিত্র রমজানে টাঙ্গাইল শহরের মানুষের জিলাপি ছাড়া ইফতার জমে না। ছোলা, বুট, মুড়ি, বেগুনি, চপ, বুন্দিয়া, ফলমূলসহ যত পদই থাকুক, জিলাপি অবশ্যই থাকবে। তাই পবিত্র রমজান মাসে শহরের মিষ্টির দোকান ছাড়াও ইফতারির দোকানগুলোয় জিলাপি তৈরির ধুম পড়ে যায়।

জিলাপি তৈরির কয়েকজন কারিগর বলেন, টাঙ্গাইলে সাধারণত দুই ধরনের জিলাপি তৈরি হয়। একটি তৈরি করা হয় মাষকলাই বেটে। আরেকটি তৈরি করা হয় ময়দা দিয়ে। ময়দা বা মাষকলাই প্যাঁচ করে ফেলা হয় গরম তেলে। তারপর তেলে ভেজে জিলাপি সিরায় ডুবানো হয়। সিরা থেকে তুলে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়।

টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচআনী বাজারেই বেশির ভাগ মিষ্টির দোকান। ‘মিষ্টিপট্টি’ নামে পরিচিত এই বাজারে ৩০টি মিষ্টির দোকান আছে। সারা বছর পাঁচ থেকে ছয়টি দোকানে জিলাপি তৈরি করা হয়। পবিত্র রমজান মাস শুরু হলে প্রায় সব দোকানেই অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি জিলাপি তৈরির ধুম পড়ে যায়।

গত রোববার দুপুরে মিষ্টিপট্টিতে কথা হয় শহরের আকুরটাকুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর বাবাকেও দেখেছেন, ইফতারের জন্য জিলাপি নিতেন। এখন তিনি নিজেও নিয়মিত জিলাপি নেন। জিলাপি ছাড়া তাঁদের ইফতার পরিপূর্ণ হয় না।

আনন্দময়ী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সুজন বসাক বলেন, রমজান এলে তাঁদের জিলাপির বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। বছরের অন্য সময় দিনে ৮০ থেকে ৯০ কেজি জিলাপি বিক্রি হয়। রমজান মাস এলে জিলাপি বিক্রি পরিমাণ ২০০ কেজি ছাড়িয়ে যায়।

জয়কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারের ব্যবস্থাপক পরিমল চন্দ্র ঘোষ বলেন, বছরের অন্যান্য সময় তাঁরা জিলাপি তৈরি করেন না। কিন্তু রোজার মাস এলে জিলাপির চাহিদা বেড়ে যায়। তাই তারা পুরো রোজার মাস জিলাপি বিক্রি করেন। মাষকলাইয়ের ডালের জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। আর ময়দার তৈরি জিলাপি মানভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে গেল, শুধু পাঁচআনী বাজারেই রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার কেজি জিলাপি বিক্রি হয়।

টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা দেখেছি, বাইরে ইফতারি বিক্রি হতো না। মানুষ নিজ নিজ বাড়িতেই তৈরি করা খাবার দিয়ে ইফতার করতেন। গত চার থেকে পাঁচ দশক ধরে টাঙ্গাইল শহরে ইফতারসামগ্রী বিক্রির প্রচলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় পদ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জিলাপি।’

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102