 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কত এমপি-মন্ত্রী এলো গেল কিন্তু আমাদের ভোগান্তি আর কমলোনা। কত জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের আগে আশ্বাস দিলো একটা সেতু নির্মাণ হবে, নির্বাচনের পরে আর খবর নাই এভাবেই আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন নাগরপুর উপজেলার আগদিঘলিয়া গ্রামের ৬০ বছর বয়সী মো: শমেশ মিয়া।
নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগদিঘলিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরীর একটি শাখা নদী। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই এই নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও নির্মাণ হয়নি সেতু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পার হচ্ছে আগদিঘলীয়, কেদারপুর, পাগলাবাড়ি, গুহুল্লীসহ অন্তত পাঁচ গ্রামের দু’থেকে তিন হাজার মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ও আগদিঘলীয়া গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এই শাখা নদী। এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রতিবছর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয় পারাপারের জন্য। অপরদিকে বর্ষাকালে চলতে হয় খেয়ায়।
আগদিঘলীয়া এলাকার মো: মুকুলমিয়া (৩৫) জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে নদী পারাপারের বেশি সমস্যায় পড়েন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ও বয়স্করা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মিল্টন মিয়া জানান, উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, হাটবাজার, উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতালে যাতায়াতে এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। তাই সেতু প্রয়োজন।