মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টাংগাইলে কাজ না বুঝে নিয়েই প্রায় ৫ কোটি টাকা অগ্রিম বিল প্রদান আসছে সবুজ খানের প্রথম চলচিত্র “বেহুলা দরদী” মধুপুরে ভয়াবহ ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত মধুপুর চাপড়ী বহুমুখী গণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ মধুপুরে সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উপজেলা বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে মধুপুরে জাতীয়  বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক!!! টাংগাইল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী একাধিক, চমক দেখাতে চায় জামায়াত মধুপুরে মনোনয়নপ্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন টাংগাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ

মির্জাপুরে বনের জমি দখলের কবলে!!

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল, পাথরঘাটা (অর্ধেক), নলুয়া, বংশীনগর (অর্ধেক), হাঁটুভাঙ্গা ও কুড়িপাড়া বিটের অধীনে মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার একর। সরজমিন পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ করার মাধ্যমে এই বনভূমির প্রায় অর্ধেক অংশ দখল হয়ে গেছে। সম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ থাকতেও কীভাবে বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে এ প্রশ্ন জনমনে।

সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে হাঁটুভাঙ্গা রেঞ্জের অধীনে থাকা বেলতৈল এলাকায় বনের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ৯টি ঘর উচ্ছেদ করেছে বনবিভাগ। উচ্ছেদকৃত ওই ৯টি ঘরের ৬টি পরিবারের লোকজন ও তারা যার কাছ থেকে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বনভূমি দখল হওয়ার কিছু প্রক্রিয়া সম্পর্কে।

বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ না করে বনের জায়গায় একটি চুলো নির্মাণ করা সম্ভব না। বনবিভাগের গার্ডরা প্রতিনিয়ত বনে টহল দেন। কেউ ঘর তুললে এককালীন নগদ টাকা নেয় তারা। ঘরের ধরন বুঝে এই টাকা নির্ধারণ হয়। এরপর সেই ঘর বাড়াতে চাইলে আবার নতুন করে টাকা দিতে হয়। আর এই লেনদেন বড় কর্তারা সরাসরি করেন না। এসব ডিল করে থাকে বনবিভাগে নিয়োজিত গার্ডরা। এমন তথ্য জানিয়েছেন বনের জায়গা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করাদের একজন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা অন্যত্র থেকে আসা শ্রমজীবী মানুষের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের মাধ্যমেও বনের জায়গায় ঘরবাড়ি তৈরি ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

বনভূমি দখলের ক্ষেত্রে বনবিভাগ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে বাঁশতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বলেন, যারা বনবিভাগকে ম্যানেজ করতে পারেননি তারাই এধরনের অভিযোগ করছেন। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গত ৫০ বছরে বিভিন্নভাবে এই বনভূমি বেদখল হয়েছে। আমরা বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। এদিকে উচ্ছেদ হওয়া ওই ৬টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বেলতৈল এলাকার জোবায়দা নামক এক নারীর কাছ থেকে স্ট্যাম্পমূলে জমি কিনে ধার দেনা করে ঘরবাড়ি তুলেছিলেন তারা। জমি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বাবদ সবমিলিয়ে ৪৫ হাজার টাকা শতাংশ দরে জমিগুলো কিনেছিলেন। এ ছাড়া ওই জমিতে একেকজনে প্রায় ২-৩ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছিলেন। জোবায়দার কাছ থেকে জমি কেনা গাফফার, মনিরুল, সিদ্দিক ও মনিরুলের ভাষ্যমতে, কাগজপত্র না বুঝে সরল বিশ^াসে তারা জমি কিনে ঘরবাড়ি করেছিলেন। তারা সবাই শ্রমজীবী মানুষ। এখন মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে উচ্ছেদ হওয়াদের থাকার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়া যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102