গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছেন নেতারা।মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অপরপক্ষে, কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে একটি সমাবেশ চলছিল। সেখানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা ডা. শাহ আলম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, কালিহাতী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বার ও জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়ালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্যায়ে বেনজির আহমেদ টিটোর মিছিলটি লুৎফর রহমান মতিনদের সমাবেশের কাছাকাছি চলে আসায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তর্কবিতর্ক থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই বাসস্ট্যান্ড এলাকার দোকানপাট ও মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম।
হঠাৎ বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলকারীরা আমাদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তারা। পরে আমাদের লোকজন সেটি প্রতিহত করতে গেলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।’বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো বলেন, ‘হাইব্রিডরা নেতাকর্মী শূন্য এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বাহিনী বানিয়েছে।
আমরা আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। তারা মিছিলে হামলা করে আমাদের কয়েকজন ত্যাগী নেতাকর্মীকে আহত করেছে। দলের ভাবমূর্তি ঠিক রাখার স্বার্থে দলের নেতাকর্মীরা পাল্টা হামলা না করে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। সেজন্য কালিহাতীর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। হাইব্রিডরা হাজারো ষড়যন্ত্র করলেও লাভ হবে না।’
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘বিজয় মিছিলটি সমাবেশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।’