নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক একজন সজ্জন, সুশিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ। তিনি মধুপুর ও ধনবাড়ী থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের এমপি। তিনি সফল খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী। তাকে নিয়ে কালিহাতীতে সড়ক অবরোধ করে প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণ নিন্দনীয়।
আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সময় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা।
ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, কালিহাতী থানা-পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে এনেছিল। তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেন। সেই সময় অকারণে ড. রাজ্জাক সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন লতিফ সিদ্দিকী।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরও বলেন, কালিহাতীর মানুষ আবেগের বসে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম, তিনি জনগণের সম্মান রক্ষার্থে নিজেকে পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তিনি পরিবর্তন হননি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি ও সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ।
এর আগে ৯ জানুয়ারি পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান নেন। ওই সময় তিনি সদ্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন।
কালিহাতীতে রাজনৈতিক কোন্দলে মদদ দেওয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার নব-নির্বাচিত এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ড. রাজ্জাককে প্রকাশ্য পেটাবেন বলে বক্তব্য করেন। অকথ্য সেই বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বলেন, রাজ্জাককে আমি পেটাব। কত বড় নেতা হইছে, …… বাচ্চা। আমার টাকায় লেখাপড়া কইরা, ওয়ান-ইলিভেনে সংস্কারবাদী হইছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলে মাফ করিয়েছি। বেইমানের বাচ্চা, ঘুষ খেয়ে টাকা হইছে। ওর টাকা আমি … দিয়া ঢুকামু, ও তো আমারে চিনে না।