নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে (মেলার মাঠ) জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা শুরু হয়েছে। মেলার নামে প্রকাশ্যে টানা কয়েকদিন ধরে চলছে মেলার মাঠে ও বাসষ্ট্যান্ডের আনন্দ ভুবন বিনোদন কেন্দ্রে ‘অশ্লীল নৃত্য’ আর বিকট শব্দের গান। এসব অশ্লীল নৃত্য দেখে বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা। অশ্লালীন কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করেই এ কর্মকান্ড হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, মেলায় জাদু খেলার নামে প্যান্ডেলের ভেতরে চলে অশ্লীল এই নৃত্য। নৃত্যের জন্য আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সী অশ্লীল নৃত্য শিল্পী। বিকেল থেকে শুরু হয়ে নৃত্য চলে পুরো রাতজুড়ে। ১‘শ টাকার টিকিটে লাইন ধরে ঢোকানো হয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীর তালিকার বড় একটি জায়গায় রয়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সী যুবকেরা। মেলায় দোকান নিয়ে আসা রহিম মিয়া ও আব্বাস উদ্দিন বলেন, ধনবাড়ীর মেলার ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগে দোকানীরা আসতো বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে। এখন আসে না। মেলায় দোকান বসালেই ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় কমিটির লোকেরা। মেলার নামে চলছে এখন অশ্লীল নৃত্য।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ মেলাটি ধনবাড়ীর ঐতিহ্য।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এগুলো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে,‘ধনবাড়ীর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ব্রিটিশ সরকারের নিকট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন। বাংলার প্রতি অঘাত ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ ১৯২১ সালে বাংলা নববর্ষে পহেলা বৈশাখে ধনবাড়ী উপজেলায় বৈশাখী মেলার সূচনা করেন। মেলাকে প্রসারিত করতে পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন হস্ত, কুটিরশিল্প ও পালাগানের উৎসব চালু করেন। সেই থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রামীণ মেলা।