নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারা বাংলাদেশের ছাত্রদের উদ্যোগে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে। ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে পুরো দেশ নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। তারি ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারীদের ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র, ছাত্রীদের উদ্যোগে শনিবার দিনব্যাপী গোপালপুর শহরে সূতি ভিএম সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এর সামনের দেয়ালগুলোতে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে জানিয়ে দিতে, বিভিন্ন রকম আলপনায় সাজিয়ে তুলছেন এ দেয়ালগুলো।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের বীর এবং শহীদ ভাইদের স্মৃতিচারণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে দেয়ালে চিত্রাংকন। আমাদের শহীদ ভাইদের পতিকৃতি, রক্ত লাল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, স্বাধীনতার প্রতীক, নির্যাতিত ভাই-বোনদের হাহাকার এবং স্বৈরাচারী শাসকের সিম্বল, এই বিষয়গুলো জনমতে ফুটিয়ে তোলার জন্যই আমাদের এ চিত্রাংকন এবং দেয়ালে লিখন। আমরা এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বার্তা প্রেরণ করতে চাই। তারা যাতে ছাত্র সমাজের এই ত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয় এবং নিজেরাও এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। তারা যাতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এবং ২০২৪ এর ইতিহাস তারা ধারণ করতে পারে। এই লক্ষ্যেই আমাদের এই কর্মসূচি।
এ সময় তারা গোপালপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ চত্তরগুলোতে ট্রাফিক দায়িত্ব নেন ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সর্বসাধারণকে তাগিদ দেয়, এবং দিনব্যাপী শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ও বাজারে কাঁচাবাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শারিয়া মাহজাবীন চৌধুরী বলেন আমরা বাংলাদেশে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে সুন্দর একটি বাংলাদেশ পরবর্তী প্রজন্মকে উপহার দেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের কিছু স্মৃতি দেয়ালে অংকন করছি, এখানে আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন আমাদের শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মো: কাওছার তালুকদার শিক্ষার্থী বলেন এখানে আমাদের প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রী ভাই-বোনেরা সারাদিনব্যাপী দেয়ালে আলপনা ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক দায়িত্বের পালন করছে এবং একটি দল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যের বাজার মনিটরিং করছে। এবং আরেকটি দল ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছে এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
আতিকুর রহমান শাওন, বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে হতাহতের সৃষ্টি হয়। পুলিশের গুলিতে অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন এবং নিহতের সংখ্যা হাজারো ছাড়িয়ে যায়। আমরা ছাত্র সমাজ দমে না গিয়ে স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলি।