মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুরে গির্জায় চুরি: তালা ভেঙে মূল্যবান সামগ্রী লুট মধুপুরে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা অভিযোগে সৎপিতার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মধুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল আজাদের মতবিনিময় মধুপুরে অ্যাড. মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা   মধুপুরে খাদ্য সংকটে গারো জনপদে বানরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে মধুপুর ফল্টে ভূমিকম্পে কোটি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু মধুপুরে এক প্রতারক গ্রেফতার টাংগাইলের ৪টি আসনে বিএনপির হ-য-ব-র-ল অবস্থা!!! মধুপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের মানববন্ধন

গোপালপুরের কলেজ ছাত্র হৃদয়ের লাশ ফেরত চায় তার পরিবার

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেন (২০) এর লাশ ফেরত চায় তার পরিবার। হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর গ্রামের কৃষক লাল মিয়া এবং রেহানা বেগমের একমাত্র সন্তান।

পরিবারের দাবি, আন্দোলনের সময় হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার (৫ই আগস্ট) গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বিজয় মিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হৃদয় নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওইদিন কোনাবাড়ীর প্রধান সড়কে ৮ থেকে ৯ জন পুলিশ সদস্য একজন যুবককে বেধড়ক মারধর করছে। একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে। এরপর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং যুবকটি কিছুক্ষণ ছটফট করে নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

হৃদয়ের ভগ্নিপতি ইব্রাহিম হোসেন জানান, হৃদয় হেমনগর ডিগ্রি কলেজে স্নাতক প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া হৃদয়ের পক্ষে লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব ছিল না। হৃদয় বাধ্য হয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি মেসে থেকে ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে আয়-রোজগার করতেন এবং নিজের পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা করতেন। কোনাবাড়ীর গ্যারেজ মালিক হাফিজুর রহমান জানান, হৃদয় তার গ্যারেজের ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতো। গোলমালের সময় গ্যারেজে ইজিবাইক রেখে মেসে ফেরার পথে পুলিশের ধাওয়ায় সে দুই ভবনের মাঝখানে আশ্রয় নেয়, সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।

গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ জানান, তিনি কোনাবাড়ীতে ব্যবসা করেন এবং ঘটনাস্থলের নিকটে তার দোকান রয়েছে।

গুলির ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে তিনি নিশ্চিত হন যে, নিহত যুবক তার গ্রামের ছেলে হৃদয়। পরে ভাইরাল হওয়া ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং পোশাক দেখে হৃদয়ের বাবা লাল মিয়া নিশ্চিত হন যে, নিহত যুবকই তার ছেলে। এরপর থেকে হৃদয়ের বাড়িতে  শোকের ছায়া নেমে আসে।

মা রেহানা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তারা একমাত্র ছেলের লাশ ফেরত চান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102