নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত চার মাসে উপজেলার এলাকার সাতটি ইউনিয়নের ১০টি স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কখনো বসতবাড়িতে ঢুকে দেশি অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে, আবার কখনো সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রাক বা বাস আটকিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল।
বাধা দিলে ডাকাতের মারধরের শিকার হচ্ছে অনেকেই। প্রতিনিয়ত এসব ঘটনার কারণে ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ।
সর্বশেষ গত সোমবার উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কের মালিরচালা এলাকায় তিনটি বনভোজনের বাসে ডাকাতি হয়। সড়কের পাশের গজারি বনের গাছ কেটে রাস্তা আটকিয়ে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ওই বাসে করে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষা সফরে নাটোর যাচ্ছিলেন।
ওই স্কুলের শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘সোমবার শেষ রাতের দিকে আমরা ফুলবাড়িয়ার সোয়াইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ নাটোরের উদ্দেশে রওনা দিই। রাত ৩টার দিকে সাগরদিঘী বাজার পার মালিরচালা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল আমাদের বনভোজনের তিনটি গাড়ির গতিরোধ করে। মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সব নিয়ে যায়।
এ ছাড়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে মালবাহী একটি ট্রাকে, ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সাগরদীঘি-ঘাটাইল আঞ্চলিক সড়কে সন্ধানপুর ইউনিয়নে ফকিরচালা এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ১০টি যানবাহনে, ১০ ফেব্রুয়ারি ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপীনপুর এলাকার মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে এবং গত ২৪ নভেম্বর লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বেইলা গ্রামে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ রকম আরো কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তাঁরা। ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটছে তাঁদের। সন্ধ্যা নামলেই ডাকাতির ভয়টা বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, যেসব ঘটনা পুলিশের নজরে এসেছে, সেগুলোসহ সব ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।