বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঘাটাইল উপজেলা শাখার শিক্ষকদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঘাটাইল কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পাল্টা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এর আগে গত শনিবার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সমিতির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সন্ধানপুর সরকারি প্রা. বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিলোয়ারা সুলতানা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দিলোয়ারা সুলতানা কর্তৃক অভিযোগটি অসত্য ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, নতুন ভবনের কাজ প্রকৌশলী কর্তৃক প্লান মোতাবেক করার জন্য ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্মাণ উপ-কমিটি করা হয়েছে। উক্ত কমিটি বিল ভাউচার এখনো কার্যকরী কমিটিতে উপস্থাপন করেনি এবং তা অনুমোদন করা হয়নি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদক ও অ্যাডহক কমিটির সদস্য এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষাক মিলে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি শিক্ষক দিলোয়ারা সুলতানা যে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এর কোনো ভিত্তি নেই। তারা সংবাদ সম্মেলন থেকে পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে দিয়ে বলেন, বর্তমান অ্যাডহক কমিটি জেলা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। সমিতির দোকান ভাড়া উত্তোলিত অর্থ যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যাংকে জমা, ব্যয় লেনদেন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে। সমিতির নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার চুক্তিমাফিক ১৫ লাখ টাকা দুই কিস্তিতে ব্যাংকে জমা করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যয় করা হয়েছে। অথচ ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান তালুকদার বলেন, সংগঠনের মাঝারি ও বড় ধরনের ব্যয় উপ-কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। উপজেলা শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এমন অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সকল শিক্ষককে বাংলাদেশ প্রাথ. শিক্ষক সমিতির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি হাবিবুর রহমান, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আলম খোকনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।