মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

মির্জাপুরে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ১৫ একর জমির ধান নষ্ট

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে কৃষক যে ধান গোলায় তুলতে পারতেন ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাস ও কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে সেই ধান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শতাধিক কৃষক ও নষ্ট হয়ে গেছে ১৫ একর ক্ষেতের প্রায় এক হাজার থেকে ১২শ’ মণ ধান। উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া বহুরিয়া ও গোড়াই ইউনিয়নের পাথালিয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে বহুরিয়া এলাকার এমএসবি, আরবিসি ও বাটা নামক তিনটি ইটভাটার আগুন নিভানোর সময় সেখান থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ও কালো ধোঁয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৫টি প্রজেক্টের আওতাধীন অন্তত ১৫ একর জমির ধান ঝলসে নষ্ট হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় স্থাপিত নতুন ৭টি ইটভাটার অনুমোদন না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটাগুলোর কিলন ও চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়ে ইটভাটাগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা অস্থায়ী চিমনি তৈরি করে ইট প্রস্তুত অব্যাহত রাখে। বহুরিয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে তার ২০ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইটভাটার মালিক অনেককে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছেন কিন্তু তা ক্ষতির তুলনায় একেবারেই কম। রাজিয়া নামের এক গৃহবধূ বলেন, বিল্লালের ইটভাটার আগুনে তার ৮০ শতাংশের একটি ক্ষেত ও ফরিদের ইটভাটায় তার ৩০ শতাংশ ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ দরকার নাই আমাগো ধান দিক, গরুর খড় দিক। এমএসবি ইটভাটার মালিক ফরিদ বলেন, আমি প্রজেক্টের লোকদের মাধ্যমে এপর্যন্ত ১২ একর জমির ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। এরমধ্যে ৫৩৯ শতাংশ জমির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে শতাংশ প্রতি ৫শ’ টাকা ও কাউকে কাউকে সবনিম্ন ২শ’ টাকা করে দিয়েছি। এইচইউবি ইটভাটার মালিক মনির বলেন, আমার ইটভাটায় কোনো ক্ষেতের ধান পোড়েনি। যার ভাটার আগুনে পুড়েছে সে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু আমার কি করার আছে। এ বিষয়ে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেয়ার নিবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা খাতুন বলেন, বিষাক্ত গ্যাসে ধান নষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমি উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে উত্থাপন করেছি। ভবিষ্যতে ওই জমিতে কৃষি আবাদের সম্ভাবনা কম। কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই ইটভাটাগুলো পরিচালিত হচ্ছিলো বলেও জানান তিনি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102