টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চাল সংগ্রহে মিলারদের সাড়া পেলেও ধানে আগ্রহ কম কৃষকদের। চুক্তি অনুযায়ী চাল দিয়েছেন মিলাররা। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান সরবরাহ কৃষকদের বিলম্ব হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করবেন বলে খাদ্য কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঘাটাইলে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহে অভিযান শুরু হয় ২৪শে এপ্রিল। অভিযান শেষ হওয়ার কথা ৩০শে আগস্ট। ইতিমধ্যেই চাল সংগ্রহের ১৩ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রায় মধ্যে প্রায় চার হাজার টন সংগ্রহ হয়েছে। এদিকে উদ্বোধনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও ধান সংগ্রহে সাড়া দিচ্ছেন না কৃষকরা। কৃষকদের মতে সরকারি দামের চেয়েও বাজারে ধান দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি গোডাউনে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের ধান দিতে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা করছেন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তারা। তবে এ বছরে চালের দাম ভালো হওয়ায় মিলাররা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। এ বছরে প্রতি কেজি ৪৯ টাকা চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরে দাম ভালো হওয়ায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়। ঘাটাইলের মিলার জামান বলেন, ঘাটাইলের সব মিলারই চাল দিয়েছেন সরকারি গোডাউনে। আমরা চেষ্টা করছি সরকারকে সহায়তা করার। ঘাটাইলের রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ঘোর চন্দ্র নন্দী বলেন, সকল নিয়ম নীতি মেনে আমরা মিলাররা খাদ্য গোডাউনে চাল দিচ্ছি। চাল সংগ্রহক্ষেত্রে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। ঘাটাইলের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ধান নিয়ে কিছুটা কৃষকদের অনীহা রয়েছে। কৃষকরা যেখানে লাভবান হবে সেখানেই তো বিক্রি করবেন। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে চাল সংগ্রহের শতভাগ পূরণ হবে বলে তিনি জানান।