টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার গবাদিপশু। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরে উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা ১৪ হাজার ৫৬৭টি, আর প্রস্তুত হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭টি পশু। ফলে চাহিদার তুলনায় প্রায় দেড় হাজার পশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে।
রোববার (১ জুন) মির্জাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশীষ কর্মকার বলেন, ‘এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৫৮৪টি ষাঁড়, ৩৯৫টি বলদ, ৫৩৩টি গাভী, ৭০টি মহিষ, ১০ হাজার ৩৩৬টি ছাগল এবং ১৪৯টি ভেড়া। খামারি ও গৃহস্থদের দেশীয় প্রজাতির পশু লালনে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা ও দেওহাটা হাট এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট। এসব হাটে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা, জামালপুর, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা।
পশুর দাম প্রসঙ্গে খামারিরা জানান, এ বছর পশুর দাম কিছুটা কম, যা তাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় সাইজের একটি গরুর দাম ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা, মাঝারি সাইজের গরু ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা এবং ছোট সাইজের গরু ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের দাম বড় সাইজে ৩০-৭০ হাজার, মাঝারি সাইজে ২০-৪০ হাজার এবং ছোট সাইজে ১০-১৫ হাজার টাকা। মহিষ বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়।
পশুর হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম জানান, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাট ইজারাদার, ব্যাপারী ও ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।