এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার ১০৭টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে সাতটি কলেজে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। এতে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে। ফলাফল প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার ১০৭টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে সাতটি কলেজে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। এতে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে। ফলাফল প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শতভাগ অকৃতকার্য কলেজগুলো হলো- সদর উপজেলার টাঙ্গাইল কলেজ, আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুপুরের মধুপুর মহিলা কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৪৪.২৫ শতাংশ।
গত এইচএসসি পরীক্ষায় আল্লাামা ইয়াকুব আলী কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ থেকে ১৬ জন করে শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে। টাঙ্গাইল কলেজ থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ ও মধুপুর মহিলা কলেজ থেকে দুজন শিক্ষার্থী করে অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৮ জনই অকৃতকার্য হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এসএম সাইফুল্লাহ বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। কলেজ না গিয়ে বাসায় নামমাত্র পড়াশোনা করলে পাস করা যায় না। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করছে কিনা সে বিষয়ে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হতে হবে।
টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডে যে নীতিমালা আছে, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কেন ফল বিপর্যয় হলো, সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জবাব চাওয়া হবে এবং উত্তোরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।