‘গত দুই বছর আগে যা বিক্রি করতাম বর্তমানে তার চেয়ে বিক্রি অনেক কম। দেশের এখন দুর্দিন চলছে, সাধারণ মানুষ পতাকা কিনছে না। দিনে ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি করা যায়। অন্য বছর ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন দুই-তিন হাজার টাকার বেশি পতাকা বিক্রি করতাম।
‘গত দুই বছর আগে যা বিক্রি করতাম বর্তমানে তার চেয়ে বিক্রি অনেক কম। দেশের এখন দুর্দিন চলছে, সাধারণ মানুষ পতাকা কিনছে না। দিনে ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি করা যায়। অন্য বছর ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন দুই-তিন হাজার টাকার বেশি পতাকা বিক্রি করতাম।
মির্জাপুরে পতাকা বিক্রি করতে এসে কাউছার হোসেন (৩০) নামের এক পতাকা বিক্রিতা মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব কথা বলেন। কাউছার ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার মীরকান্দা গ্রামের রোকন মাতাব্বরের ছেলে।
একই ধরনের মন্তব্য করেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বড় মুসজুন্নি গ্রামের কবির মাতাব্বরের ছেলে পতাকা বিক্রেতা আলম মিয়া। তারা গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
ডিসেম্বর মাস এলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পতাকা বিক্রি করতে নামেন তারা। বছরের বাকি মাসগুলো বিভিন্ন এলাকায় কসমেটিকসের ব্যবসা করেন বলে তারা জানান। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে পতাকা বিক্রি বাড়লেও চলতি বছর তা আশানুরূপ নয় বলে তারা মন্তব্য করেন।
পতাকা বিক্রেতা কাউছার হোসেন বলেন, তিনি ৭ ডিসেম্বর থেকে পতাকা বিক্রি করতে মির্জাপুরে আসেন। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি হয়। তার কাছে ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দামের পতাকা আছে। বিক্রি কম থাকায় অনেক সময় কেনা দামেই পতাকা বিক্রি করে থাকেন। দিন শেষে খোরাকির টাকা রোজগার করতে পারলেও কোনো ব্যবসা হয় না।
আরেক পতাকা বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, দুই বছর আগেও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপুলসংখ্যক পতাকা ও মাথার ব্যাজ কিনত। এ বছর স্কুল-কলেজে গিয়ে আশানুরূপ পতাকা বিক্রি হয় না।