নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পেঁয়াজের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলায় পেঁয়াজ চাষের জমির পরিধি বৃদ্ধি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি বিভাগের প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিনামুল্যে দেয়া হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ, সারসহ কৃষি প্রনোদনা। অনুকুল আবহাওয়া থাকায় পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে ভালো। এতে খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ। সফলতা দেখে অনেক কৃষক আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি মসলা ফসল পেঁয়াজ। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশী পেঁয়াজের চাষ হয়। জলবায়ুর পরিবর্তন, বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ ও পোকার আক্রমণের কারণে দেশে পেঁয়াজের ফলন হয় কম। এ কারনে দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমান পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। রফতানীকারক দেশগুলোতে পেয়াজের সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব পরে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। হুহু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ দেশেই বেশী পরিমানে পেয়াঁজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে
টাঙ্গাইল জেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। গত বছর ৭৪৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছিল।
সরকারী নির্দেশনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের জমি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রনোদনা কর্মসুচীর আওতায় কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন উপকরণ দেয়া হয়েছে বিনামুল্যে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও অনুকুল আবহাওয়া থাকায় পেঁয়াজের ফলন হয়েছে ভালো। ভালো ফলন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে খুশীর ঝিলিক। বর্তমানে দেশের পেঁয়াজের বাজারদর ভালো থাকায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে পেঁয়াজ চাষের কথা জানিয়েছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক দুলাল উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে জেলায় বছরে দুইবার রবি মৌসুম ও গ্রীষ্ম মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে। আগামীতে এ জেলায় পেঁয়াজ চাষে আরো সফলতা আসবে। দেশের সবর্ত্র যদি পেঁয়াজ চাষ ও পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়া যায় তবে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পুরণে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।