মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :

নাগরপুরে ছেলের জিম্মির খবরে বাবা-মায়ের আর্তনাদ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদ। নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার সাব্বির মাহমুদ নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাধলা পাড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ এর ছেলে। আচমকা ছেলের এমন খবর শুনে উন্মাদিনীর মত বুক চাপড়িয়ে বিলাপ করে যাচ্ছেন মা সালেহা বেগম। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বাবা।

একমাত্র বোন মিতু আক্তার মুমূর্ষু অবস্থায় ভাই কে ফিরে পাবার আকুতি জানাচ্ছেন বার বার। প্রতিবেশী ও উদ্বিগ্ন আত্বীয় স্বজনসহ সকলের একটাই দাবি যে কোন ভাবে সরকার যেন দ্রুত সাব্বিরকে মুক্ত করে আনেন।

জানা যায়, ভারত মহাসাগড়ে জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সাব্বির মাহমুদ। সে নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী নেন। সাব্বির এক ভাই এক বোন। সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে।

তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। সাব্বিরের বাবা মস্তিকের রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারাইলাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। সাব্বিরের চাকুরী হওয়ার পর তার মা শয্যাসায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবতপুর তার বাবার বাড়ি বসবাস করেন। সহবতপুরের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে এখন কেউ আর থাকেন না। একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বির। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না। এদিকে সংবাদ পেয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান সাব্বিরের নানার বাড়ি গিয়ে সাব্বিরের বাবা মায়ের খোঁজ খবর নেন এবং তাদেন কে শান্তনা দেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights