নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, এই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি যুবক-যুবতী তার যৌবনে প্রেম করে। আমি এক অভাগা ও সৌভাগ্যবান আমার জীবনে কোন নারীর সাথে আমি প্রেম করি নাই। আমার প্রেম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তাও আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে পেয়ে আমি বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। আর বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। আজকে আমার কাছে দেশ ও আমার মা আমার কাছে একই সমান। আমি আর কাউকে চিনি না জানি না।
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় কাদেরিয়া বাহিনীর যাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর সারাদেশে একটা বাহিনী হয়েছিল তার নাম ছিল জয় বাংলা বাহিনী। এটা ছাত্রদের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল। ২৬ মার্চ টাঙ্গাইলে গণ পরিষদের সদস্যদের নিয়ে যে কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির সাত-আট জনকে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা গণমুক্তি পরিষদ হয়েছিল। আজকের এই সভায় এতো মুক্তিযোদ্ধা এর আগে আমি কখনো দেখি নাই। আমার ১৮ হাজার কাদেরিয়া বাহিনী থাকলেও আমরা এখন যেখানেই যাই, যেখানেই মিটিং করি মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা হয় ৫০, ১০০ ও ২০০ জন। তবে আমার মন ভরে গেছে আজকের উপস্থিতি দেখে।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, আজকে দেশের সামাজিকতা বদলেছে। সরকারের অবস্থা বদলেছে, নানা কিছু বদলেছে। তারপরও আমি প্রায় চার বছর কতজনকে যে চিঠি দিয়েছি যাদুঘরের জন্য জায়গা চেয়ে। এবং কি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকেও দুই-তিনবার চিঠি দিয়েছি। পূর্ত মন্ত্রণালয়েও চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটা দিয়েছিলাম। মনে হয় তার চার-পাঁচ দিন পর সে চিঠির উত্তর এসেছিল। জায়গা বরাদ্দ দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে লেখা হয়েছিল, ভূমি মন্ত্রণালয়কে লেখা হয়েছিল। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম এতো তাড়াতাড়ি একটা চিঠির জবাব এসেছে এবং জমি জমা দিয়ে এটা বাস্তবায়ন করার জন্য।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, খান আহমেদ শুভ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএমএস সিরাজুল হক আলমগীর, সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠারে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।