নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টাঙ্গাইলে জুতার বাজারে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। কেউ কিনছেন কেডস, কেউবা স্লিপার বা চটি জুতা। অপর দিকে সাশ্রয়ী মূল্য ও আশানুরূপ বিক্রি হওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে গরমের কারণে এবারের ঈদ বাজারে স্লিপার জুতার চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জুতার দোকানগুলোতে ঘুরে ও কথা বলে জানা গেছে, আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ গুণ। দোকান ভেদে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ১-২ লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি দোকান সকাল ৯টা থেকে শুরু করে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। জুতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্লিপার বা চটি জুতা। যা পাঞ্জাবি-পায়জামার সঙ্গে পড়বেন বলে কেনা হচ্ছে। চটি জুতাগুলো সাধারণ ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেডস ও সু’জুতো বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে ব্র্যান্ডের জুতাগুলো আরও বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা অন্য সময়ের মতোই।
জুতার দোকানের বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম রনি বলেন, অনেক ভাল বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন আগে যেখানে ৫-১০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। এখন তা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ১৫ রমজানের পর থেকে বিক্রি আরও বেড়ে গেছে। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত আরও বেশি বিক্রি হবে। তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা বিদেশি জুতা স্যান্ডেলের প্রতি। চায়নিজ জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা বেশি কেডস আর স্লিপার। স্লিপার পাঞ্জাবি পায়জামার সঙ্গে পড়ার জন্য নিচ্ছেন সবাই।
জনপ্রিয় এক কোম্পানির শো-রুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। আগে গড়ে বিক্রি হতো ১০ হাজার টাকা। আর এখন ৩০-৪০ হাজার টাকা আমাদের ব্রাঞ্চেই বিক্রি হচ্ছে। সামনে আগামী কয়েক দিন আরও বাড়বে। কারণ ঈদ যতো এগিয়ে আসে বিক্রি বাড়ে। এবার আমাদের অনেকগুলো নতুন ডিজাইনের জুতা এসেছে, এতে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। তিনি বলেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিক্রি। আমরা সকাল ৯টায় দোকান খুলে বন্ধ করেছি পৌনে ২টার সময়। শুধু আমাদের দোকানই নয়, অন্যান্য সকল দোকান অনেক রাত পর্যন্ত খোলা রাখছে। কারণ কাস্টমার আসে, তাদের তো আর বলতে পারি না যে দোকান বন্ধ করবো আপনারা চলে যান।
টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে মেয়েদের পেন্সিল হিল, স্লিপার, হাই হিল, পুরুষদের ক্যাজুয়াল ও ফরমাল সু, কেডস, লোফার, চটি জুতা, শিশুদের জন্য, স্যান্ডেল, কেডসসহ সকল ধরনের জুতা পাওয়া যাচ্ছে। বেসরকারি চাকুরিজীবি রাকিবুল ইসলাম এসেছেন নিজের ও তার প্রিয়জনের জুতা কিনতে। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদ আসলেই আমি জুতা কিনি। এবার একটি চটি জুতা নিয়েছি। দাম নিয়েছে ৫৫০ টাকা। এখানে কম দামে জুতা পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা এবার দামাদামি করে নিতে হলো। না হলে ঠকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দোকানদাররা অনেক বেশি দাম চায়।