নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একটি বিদ্যালয়ের একজনও পাশ করতে পারেনি। পাশ না করা স্কুলটি হল উপজেলার সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল তিনজন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এসব শিক্ষার্থী কেউ পাস করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০০৪ সালে সোমজানি গ্রামের ডা. ক্যাপ্টেন আব্দুল বাসেত তার নিজ নামে ‘ডা. ক্যাপ্টেন আব্দুল বাসেত ইবনে আইনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। পরে উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর সাতজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন এই অভিযোগে বিগত ২০১২ সালে তার নাম স্কুল থেকে বাদ দেওয়া হয়। নামকরণ করা হয় ‘সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয়’।
স্থানীয়রা বলেন, স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না। দুই চারজন শিক্ষার্থী এলেও শিক্ষকরা আসেন না। স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ মুছা বলেন, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কোনো শিক্ষক স্কুলে যান না। কাগজে কলমে তারা ওই স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু বাস্তবে করোনার সময়ের পর থেকে কেউ স্কুলে যান না। মাঝে মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক গিয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি আরও বলেন, তিনি নিজে রতনগঞ্জ বাজারে ওষুধের দোকান করেন। অন্য শিক্ষকরাও কেউ কোচিং সেন্টার অথবা অন্য কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন।
সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিনা বেতনে শিক্ষকরা থাকতে চান না। এবার যে তিনজন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল তারা কর্মজীবী। তাই ভালো ফলাফল করতে পারেনি।