টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে অসময়ে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত বছর নদী ভাঙনের পর যেটুক ভূমি ছিল সেটুকুও এবার ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপুর ও গোপীনাথপুর গ্রামে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সেখানে এবার স্থানীয়রা ভুট্টা, তিল, বাদাম, বোরো ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করেছিলেন। গত বছরের মত এবারও উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড বার বার আশ্বাস দিলেও বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে না। এদিকে, প্রতি বছর বন্যায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে মাটি ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধপাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, বসত-বাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভবত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। তা না হলে ফসলি জমির সঙ্গে তাদের ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আবদুল্লাহ খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়া। এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়া জানান, নদী ভাঙনের স্থান থেকে প্রায় ৫-৬শ’ মিটার নিকটে ঘরবাড়ি রয়েছে। সুতরাং এলাকাটি মনিটরিং করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।