নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে দু’দিন না যেতেই ‘এবার’ শাপলা নার্সিং হোম এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকে সবিতা আক্তার (২৮) নামে এক মালেয়শিয়া প্রবাসী স্ত্রী প্রসূতী’র অপারেশনের সময় ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
স্বজনরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা-সিংগার গ্রামের মালেয়শিয়া প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী সবিতা আক্তারের (২৮) সন্তান প্রসূতী’র জন্য টাঙ্গাইল পৌর শহরের নতুন বাস টার্মিনালের নার্সারী রোডে অবস্থিত শাপলা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার দ্রুত অপারেশন করাতে হবে নিশ্চিত করেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
পরে বৃহস্পতিবার (১১ জলাই) ডা. আফরোজা আক্তার রুনুর তত্বাবধানে সবিতা আক্তারকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। অপারেশন শেষে বাচ্চা সুস্থ আছে এমন খবর আসে ওটি থেকে। কিন্তু প্রায় ৬ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় রোগীর সাথে থাকা স্বজনদের সন্দেহ হয়। এ সময় স্বজনরা জানতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রোক করেছেন, ডাক্তার তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
স্বজনদের দাবি রোগী শাপলা নার্সিং হোম ক্লিনিকে মারা গেছে। বাকিটা তারা নাটক সাজিয়েছে। আমরা ডা. আফরোজা আক্তার রুনুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে ডা. আফরোজা আক্তার রুনুর মোবাইল নাম্বার চাইলে অসম্মতি প্রকাশ করে তারা বলেন, ডাক্তারের নাম্বার দিয়ে কী হবে ? ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন উনারাই বিষয়টা দেখবেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি শিবলী সাদিক বলেন, মালিকপক্ষের সাথে এবং ডাক্তারের সাথে বসে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি কী ঘটেছিলো এই ব্যাপারে কথা বলে তারা যদি তাদের দায়িত্বের অবহেলার কারনেই রোগি মারা গিয়ে থাকে তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোগীর পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় সর্বাত্বক চেষ্টা করা হবে।