ঘাটাইলে পিতার হাতেই খুন হলো ৩ বছর বয়সি শিশু সন্তান তোয়া। পিতা ছুরিকাঘাত করে নিজ ঔরসজাত সন্তানকে খুন করে। খুনের এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের কাইতকাই গ্রামে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ঘাতক পিতা মুক্তার হোসেন (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা ছুরিটিও।
জানা যায়, মুক্তার হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার ভাই মারা যাওয়ার পর এক সন্তানসহ বিয়ে করেন তার ভাই বউ রুমিকে। পরে মুক্তা হোসেনের ওরসে জন্ম নেয় দুই সন্তান। এর মধ্যে তোয়া ছোট। ওর উপর মাঝে মধ্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে যেতেন তিনি। ঘটনার রাতে বিছানায় গিয়ে মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে যায় শিশু তোয়া। এমন সময় আধা ঘুমন্ত অবস্থায় পাষন্ড পিতা শিশুকন্যার বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে তোয়ার পেট থেকে নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে যায়। পরে স্থানিয়রা ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পরিবারের দাবি মুক্তার হোসেন মানসিক বিকারগ্রস্থ। ওই মেয়েকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছে একাধিকবার। কি কারনে শিশু কন্যার উপর ক্ষোভ ছিল তা বলতে পারছেনা কেউ। ঘটনার পর পরই ওসি মীর মোশারফ হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোপালপুর সার্কেল ফৌজিয়া হাবিব খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোপালপুর সার্কেল ফৌজিয়া হাবিব খান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আসামী এ্যরেস্ট হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তিনি(মুক্তার) নাকি মানসিক বিকারগ্রস্থ ছিল। যেহেতু ধরা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।