আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নতুন সরকার নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা এবং ভোটে কারচুপির দাবির মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আজ লাখ লাখ পাকিস্তানি ভোট দিতে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রাগারে রয়েছেন ইমরান খান এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তবে দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অনেক বিশ্লেষকই বলছেন, এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনগুলোর একটি।
দেশটির ৯০ হাজার ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব ভোটকেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখের বেশি সেনা, আধাসামরিক এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে ১২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ভোট দেবে যাদের মধ্যে অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সী। এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মাত্র ৩১৩ জন নারী প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকায় তার দলের জন্য এবারের নির্বাচন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।
তারা তাদের দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে এবার ভোটে অংশ নিতে পারছেন না। এই দলের অনেক প্রার্থীই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে তাই এবার পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকছে না বলা যায়।