মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মধুপুরে নির্মাণ প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত মধুপুরে কৃষি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন বেকারত্ব দূরীকরণে শিল্পাঞ্চল গড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হবে-মধুপুরে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মধুপুর পৌরসভার ২০২৫–২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা মধুপুরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মধুপুরে মৃত ব্যক্তিকে দাফনে মামার বাধা মধুপুরে বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত “এসো শিকড়ের টানে, মিলি প্রিয় প্রাঙ্গণে” প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরে প্রথম মধুপুর আদর্শ ফাজিল মাদরাসার সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা মধুপুরে বাস মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু’জন নিহত অতিরিক্ত ভাড়া ও মাপে কম দেয়ার অপরাধে মধুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

টাংগাইলে কালী মন্দিরে শত বছরের প্রাচীন বৈশাখী মেলা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও টাঙ্গাইলে শত বছরের প্রাচীন বৈশাখী মেলা বসে। পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে প্রতি বছরের এই দিনে বিশেষ এ মেলার আয়োজন করা হয়। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায় টাঙ্গাইল শ্রী শ্রী কালীবাড়ী মন্দিরে।

জানা যায়, বাংলা ১৩১৯ সালে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় সাব রেজিস্ট্রার কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। সেই থেকে প্রতি বছরের এই দিনে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে। এবার মেলায় ৫০টি দোকান বসেছিল। এসব দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় থালা-বাসন, মাটির খেলনা, জিলাপী, চিনির সাজ, বিন্নী ধানের খইসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা উঠে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা এলাকার সুনীল চন্দ্র (৫০) জানান, তিনি ২০ বছর ধরে এই মেলায় থালা বাসন বিক্রি করেন। ঈদের জন্য এবার তার বিক্রি গতবারের তুলনায় কম হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘাটাইলের কদমতলী এলাকার জিলাপী ব্যবসায়ী ঈসমাইল হোসেন (৪৮) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর যাবত এই মেলায় জিলাপী বিক্রি করে চলেছেন তিনি। মেলায় এক দিনে ১০ মণ জিলাপী বিক্রি করে থাকেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও টাঙ্গাইল পাঁচআনী-ছয়আনী বাজারের চেয়েও তার জিলাপীর দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জিলাপী অনেক সুস্বাদু ও ভেজালমুক্ত। প্রতি কেজি জিলাপী তিনি ১৮০ টাকা করে বিক্রি করে থাকেন। টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকার কুমার নিখিল চন্দ্র পাল (৪০) জানান, কুমারের এই ব্যবসা তাদের শত শত বছরের। বৈশাখী মেলায় তিনি ২০ বছর যাবত মাটির খেলনা বিক্রি করে আসছেন। বাচ্চাদের খেলনাসহ বিভিন্ন রঙ-বেরঙের মাটির ব্যাংক, ফুলদানি ও মাটির হাড়ি বিক্রি করে থাকেন। মেলায় প্রতিবছর তিনি গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। দেলদুয়ারের পাথরাইল থেকে প্রথম মেলায় আসা চিনির সাজ ও খই ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র সাহা (৫০) জানান, পুরাতন ব্যবসায়ী হলেও কালীবাড়ী বৈশাখী মেলায় তিনি এবার প্রথম এসেছেন। মেলায় এসে বিক্রি ভালো হওয়ায় তিনি বেশ খুশি।

মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, কালীবাড়ী মন্দিরে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে। শত বছরের পুরাতন মেলা শুধু টাঙ্গাইলে না দেশের অনেক স্থানে পাওয়া প্রায় অপ্রতুল। বাংলা ১৩১৯ সালে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় সাব রেজিস্ট্রার কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার তার বাবা ও মা কে উৎস্বর্গ করে এই কালীবাড়ী মন্দির স্থাপন করেন। সেই থেকে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে দিনব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, বৈশাখী মেলা বা বৈশাখের মেলা হচ্ছে একটি বাঙালি উৎসব মেলা, যা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে আয়োজিত হয়। এটি একটি সার্বজনীন উৎসব, যা বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্তৃক প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের সাথে আয়োজন করা হয়। ইতিহাস পন্ডিতেরা মনে করেন, মোগল স¤্রাট আকবর বাংলা সন চালু করেন ১৫৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে হিজরি, চন্দ্রাসন ও ইংরেজি সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয় বলে জানা যায়। নতুন এ সনটি প্রথমে ফসলি সন নামে পরিচিত থাকলেও বঙ্গাব্দ হিসেবেই তা পরিচিতি পায়। বাংলা নববর্ষ স¤্রাট আকবরের সময় থেকে পালন করা হত। ওই সময় বাংলার কৃষকেরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূস্বামীদের খাজনা পরিশোধ করত। মেলা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো এ উপলক্ষে। পরবর্তী সময়ে বৈশাখ উপলক্ষে যে মেলার আয়োজন করা হতো। সে মেলাকে ‘বৈশাখী মেলা’ নামে নামকরণ করা হয়।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102