নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধুপুর গড়ের লাল মাটি আনারস কলা ধান আদা হলুদ পেঁপেসহ নানা কৃষি ফসলের জন্য বিখ্যাত। মাটির উর্বরতা শক্তি বেশি থাকার কারণে এসব ফসল ভালো জন্মে থাকে। উর্বর শক্তি সম্পন্ন মাটির ঐতিহ্য নষ্ট করতে এক শ্রেনীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ী ও মাটি খেকোরা তৎপর। তারা মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জমজমাট মাটি বানিজ্যে নেমেছে। টপ সয়েল বিক্রি করে দিচ্ছে বাড়ি বাড়ি ইটভাটাসহ নানা স্থানে। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসন তৎপর থাকার কারণে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা অব্যাহত রেখেছে। প্রশাসন রাত ও দিনে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। অপ্রতিরোদ্ধ মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে গতরাতে মধুপুর উপজেলা প্রসাশন অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার করে মোট এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে পাহাড়ী মাটি কাটা রোধকল্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় প্রশাসন।
এ সময় আলোকদিয়া ইউনিয়নের রক্তিপাড়া গ্রামে অবৈধভাবে পাহাড়ি লাল মাটি কেটে বিক্রির দায়ে এক জনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদায় করা হয় এবং মধুপুর পৌরসভার ওলিপুর গ্রামে মাটি বিক্রির দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থদন্ড প্রাপ্তরা হলো-ওমর ফারুক (৫৫)। সে আলোকদিয়া ইউনিয়নের ধামাবাশুরী গ্রামের শুকুর মাহমুদের ছেলে। অপরজন আমজাদ হোসেন (৬৫)। সে মধুপুর পৌরসভার অলিপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। উভয়কে ৫০ হাজার করে জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন জানান, মধুপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও স্থানে অবৈধভাবে পাহাড় ও মাটি কাটা রোধকল্পে মধুপুর উপজেলা উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অবৈধভাবে মাটির কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। খবর পাওয়া মাত্রই দিন রাত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।