নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খানসহ ১২ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক কোম্পানীর কর্নধার শিল্পপতি মনির আহমেদ মনা বাদি হয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিল্পপতি মনির আহমেদ তার টাঙ্গাইল শহরের আদালতপাড়া এলাকার পন্ড ভিউ নামের একটি বিলাস বহুল বাড়ির ছয়তলায় থাকেন। ঢাকা থেকে তিনি এসে ওই ফ্ল্যাটেই উঠেন। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি বিএনপির কয়েকজন নেতা শেখ মোহাম্মদ হাবীবসহ তার আত্মীয়কে দাওয়াত দেন। এ সময় কিছু লোকজন তার ফ্ল্যাটে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। তারা এ সময় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি করলে তারা মনির আহমেদের আত্মীয় ও বিএনপি নেতাদের মারপিট করে। মারধরে আহত মাহবুবুল আলম মাসুদ নামের একজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মনির আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অপর দায়ী ব্যক্তিরা হলেন-টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ, সাদেক, রোজ, নাঈম, রুবেল, সুমন, সাতিল, রুমেল, সাব্বির, জুবায়ের আহমেদ ও জাহিদুর।
এদিকে আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে টাঙ্গাইল জেলা ও শহর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা এ ঘটনাকে দুঃখজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি একটি কুচক্রি মহল আহমেদ আযম খানের সম্মান ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেছে। বিএনপি নেতারা বলেন, মনির আহমেদ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দোসর। তিনি বিএনপির কিছু বহিস্কৃত ও দুস্কৃতিকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে তার সম্মানহানী করার চেষ্টা করছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।