নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ও পেঁচারআটা হাটের কাছে বংশাই নদীর উপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘ দিনের। সেতু না হওয়ায় সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হয় এলাকার মানুষ। ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত এ সাঁকো দিয়ে। এক বস্তা সার বা ধান সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গুনতে হয় ৩০ টাকা। দুর্ভোগ নিরসনে বংশাই নদীর উপর দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নদীর একপাড়ে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পেঁচারআটা বাজার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর পাড়ে রয়েছে ধলাপাড়া কলেজ, দু’টি মাধ্যমিক ও একটি দাখিল মাদরাসা। এসব প্রতিষ্ঠানের নদীর পশ্চিম পাড়ের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সাঁকো।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে এখন পর্যন্ত সাঁকো থেকে পড়ে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেকসময় ক্ষেতের সবজি ক্ষেতেই পচে যায় বলে দাবি পেঁচারআটা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের।
রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মাহবুব উল হক মাসুদ বলেন, মানুষের ভোগান্তি আর সহ্য হয় না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে সেতু নির্মাণ এলাকার মানুষের অনেক দিনের দাবি।
উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের ভাষ্য, সেতু নির্মাণ করা হলে বাঁচবে এলাকার কৃষক এবং এলাকাটির উন্নয়ন হবে।
এলজিইডির ঘাটাইল উপজেলা প্রকৌশলী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, বংশাই নদীর উপর সেতু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে তথ্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। হয়তো একটু সময় লাগবে।