মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
অভিনেতা সিদ্দিককে বেধড়ক মারধর করে থানায় সোপর্দ! মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ মধুপুরে মাদক ও বাল্য বিবাহ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় ‘আনাই’ ফল আজ বিলুপ্তপ্রায় সন্তান বিক্রি করে মোবাইল-গহনা কিনলেন মা, উদ্ধার করলো পুলিশ মধুপুরে নওমুসলিমের বাড়ি ভাঙায় বিক্ষোভ ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কালসাপ ও সন্ত্রাসী আখ্যা দেন মধুপুরের ইউএনও মধুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিউটি পার্লারের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মধুপুরে মহিলাদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী মধুপুরে দৃশ্যমান হলো ইসলাম শিক্ষা পাঠাগার

ভূঞাপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে নার্সারী করে ভাগ্য বদলেছে ফাতেমার

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৪৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেমিপাকা ঘর। সেই ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন ফাতেমা বেগম নামে এক নারী উদ্যোক্তা। ঘরের পাশে রয়েছে তার একটি চা-বিস্কুটের দোকান। পাশাপাশি নার্সারির ব্যবসা করেও তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা।

ফাতেমা বেগমের স্বামী মো. রঞ্জু। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পৌর শহরের শিয়ালকোল ফায়ার সার্ভিসস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।

আগে অন্যের জায়গায় তারা বসবাস করতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বারান্দায় ফাতেমা ফলজ, বৃক্ষ ও সবজির নার্সারি করেছেন। ছোট এ নার্সারিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ প্রজাতের চারা রয়েছে।

ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের বারান্দা ও সামনের (উঠানের) কিছু অংশ ফাঁকা না রেখে চিন্তা করলাম এখানে ছোট পরিসরে একটি নার্সারি করা যায় কি না। পরে স্বামীর সহযোগিতায় নার্সারি করি। প্রথমে অল্প প্রজাতের চারা নিয়ে শুরু করি। বর্তমানে ২০-২৫ ধরণের চারা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন এসব বিক্রি করে প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয়। আগে অভাবের সংসার থাকলেও এখন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছি। সন্তানরা ঢাকায় চাকরি ও রাজমিস্ত্রীর কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও জায়গা না পেলে ভাগ্য বদল হতো না। নার্সারি বড় করার জন্য সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

ফাতেমা বেগমের স্বামী রঞ্জু বলেন, ভূমি ও গৃহহীন থাকায় আগে হতাশায় ভুগছিলাম। পরে ঘরের জন্য আবেদন করলে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন স্যার ও পিইআইও মো. জহিরুল ইসলাম স্যার যাচাই-বাচাই করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ব্যবস্থা করে দেন। এই ঘর উপহার পেয়ে অনেক ভালো রয়েছি।

সরেজমিনে উপজেলা পৌর শহরের শিয়ালকোলের ফায়ার সার্ভিসস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ১২টি পরিবার বসবাস করছেন। এখান কেউ সেলুন দোকান করেছেন, দর্জির কাজ করছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। প্রকল্পের উঠানে সবজি চাষ করেছেন। বসবাসরতরা পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে সুখেই দিনপার করছেন তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের শিয়ালকোল এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২টি পরিবার বসবাস করছে। এর মধ্যে ফাতেমা নামে এক উপকারভোগী নারীকে নার্সারি বাগান করতে উৎসাহ প্রদান করলে তিনি নার্সারি করেন। এসব বিক্রি করে এই নারী উদ্যোক্তা বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু ফাতেমাকেই নয়, তার মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত এখানকার কয়েকজনকে মুদি দোকান, সেলুন দোকান, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরেক নারীকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। এসব বাসিন্দারা এখন সুন্দরভাবে পরিবার নিয়ে দিনপার করছে। ফলে তাদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সেমিপাকা ঘর উপহার হিসেবে প্রদান করে সরকার। যে নারী উদ্যোক্তা হয়ে নার্সারি করেছেন তা প্রশংসনীয়। আশ্রয়ণে যারা বসবাস করছে তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102