নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাইতেও খারাপ নির্বাচন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ যোগ দিয়ে বঙ্গবীর এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই―যারা কেন্দ্রে যায়নি তাদের ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ৫ শতাংশ ভোট দিতে যায় নাই, আর যারা অন্য দল করে তাদের ১ শতাংশ ভোটারও ভোট দিতে যায়নি।
বাসাইল-সখীপুরে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, তারা যদি চুরি করে তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কী শিখবে? তাদের হাতে জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে সংসদ আছে―সংসদ সদস্যের কোনো মর্যাদা নাই, রাজনীতি আছে―নেতাদের মূল্যায়ন নাই, আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিল কি নিল না সেইটা দেখার বিষয় না। আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কি না―এইটা হলো বড় বিষয়।
তবে আমি জানি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, মানুষও খুশি না। এ ভোটে সরকার স্বস্তিতে নাই। নির্বাচনে যদি ৭০ শতাংশ ভোট পড়ত তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও কোথাও ২৫ শতাংশ ভোটও হয়নি।
সরকারকে স্বস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।’
যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, এইভাবে ভোট হলে মানুষ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যেতে মানুষের মধ্যে অনীহা চলে এসেছে। আমি নির্বাচন করেছি, ভোটেও অনিয়ম হয়েছে। আমি যদি সত্যিকারের ভোটে হেরে গিয়ে থাকি―তাহলে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছে। জাতি যদি মনে করে মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না―দেশের স্বাধীনতা চায় না।
তাহলে বলব আমি হেরে গেছি এবং একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও হেরে গেছেন।’
মিট দ্য প্রেসে দলীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।