নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি এলাকার মাঠ-ঘাট সূর্যমুখীর হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। শীতের শেষে হালকা বাতাসে দোল খায় দৃষ্টিনন্দন এই সূর্যমুখীর ফুল। ফসলি জমির মাঠ যেন হলুদ শাড়ির আঁচলে মাথা লুকিয়ে হাতছানি দিচ্ছে। আকাশের দিকে মুখ তোলে সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়াচ্ছে এই সূর্যমুখী। মোবাইল ফোনে সেলফি নিতে মাতোয়ারা হচ্ছে সৌন্দর্যপিপাসুরা।
শুধু মানুষ নয় ফুলের গন্ধে দিশেহারা মৌমাছিরাও। এ যেন আগুনরাঙা ফাগুনে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়াতে শৈল্পিক প্রতিযোগিতা! তাইতো ফাগুনবেলা এমন চোখজুড়ানো ক্ষণ উপভোগ করতে সূর্যমুখীর মাঠে মাঠে সৌন্দর্যপিপাসুদের ভিড়।
তেলবীজ জাতীয় এই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তা ছাড়া কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায় এই তেলজাত ফসলে। এবার ঘাটাইলে সাত হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ কৃষি বিভাগের। সরকারের প্রণোদনায় চাষ হয়েছে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখীর। ফলে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এবার সূর্যমুখীর ফলনও ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা।
কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার ১১০ শতক জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। তিনি জানান, এবার সূর্যমুখীর ভালো ফলন হয়েছে, এতে তিনি ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছেন। মমিরপুর গ্রামের কৃষক মতিন মিয়া ৫০ শতক জতিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। সূর্যমুখীর ভালো ফলনে তার চোখে মুখে রয়েছে আনন্দের হাসি।
ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা তেলবীজ জাতীয় এই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আগামীতে সূর্যমুখীর আবাদ আরো বেশি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।