নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশসহ টাঙ্গাইলের ইফতারে সব সময়ই জনপ্রিয় তরমুজ। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন। টাঙ্গাইলের খুচরা বাজারে এই ফলের দাম মান ভেদে এখন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনলেও চড়া দামে ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজি দরে। অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এসব তরমুজের অধিকাংশই অপরিপক্ব।
তারপরও টাঙ্গাইলের জেলা ও উপজেলার বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর ভেতরে হালকা লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত বছরের ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল উঠে এপ্রিলে। এরপর পুরো মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়। মূলত বছরের এপ্রিল ও মে মাস হলো তরমুজ খাওয়ার জন্য উপযোগি সময়।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, পবিত্র রমজানের সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।
পাইকারি ফল বিক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রমজান মাস শুরু হয়েছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। কারণ রোজাদাররা টাকা বেশি দিয়ে হলেও একটু ফল মুখে দিতে চান। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান। সঙ্গে আবার গরমও পড়তে শুরু করেছে। তরমুজ কিনতে আসা ফারুক হোসেন জানান, রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। তাছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ব। তরমুজের ভেতরে হালকা লাল রং ছড়িয়েছে, এছাড়া মিষ্টি না। আরেক ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগছে। যদি দামটা ৩০-৪০ টাকা কেজি হতো তাহলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।