নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করায় ৬৯ জন শিশু-কিশোর উপহার পেয়েছে। তিন জনকে বাইসাইকেল এবং ৬৬ জনের হাতে স্কুলব্যাগ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী এই উপহার বিতরণ করেন।
শিশু-কিশোরদের মোবাইলের কুফল ও অতিরিক্ত আসক্ততা থেকে নামাজে আগ্রহী করতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়ামিন বিন মাজিদ জানিয়েন।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজান শুরুর ১০ দিন আগে এলাকার শিশু-কিশোরদের জামাতে নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য উপহার ঘোষণা করে মসজিদ কমিটি ও ইমাম। বহুরিয়া গ্রামের ৮ থেকে ১৬ বছরের ৬৯ জন শিশু-কিশোর মসজিদে এসে নামাজে অংশ নেয়। এর মধ্যে টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয় ২৯ জন শিশু-কিশোর।
তারা প্রতিদিন নামাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
লটারির মাধ্যমে বহুরিয়া গ্রামের ওসমান গনির ছেলে শিহাব মিয়া (১৪), শহিদ মেকারের ছেলে আবির হোসেন (১২) ও নজরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে (১৬) বাইসাইকেল এবং বাকি ৬৬ জনকে স্কুলব্যাগ উপহার দেওয়া হয়।
উপহার বিতরণকালে বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়ামিন বিন মাজিদ, বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছামাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুল আলীম বাদশা, বহুরিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল সামাদ সিকদার, ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, বহুরিয়া আদর্শ নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি মল্লিক লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, অর্থ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, বহুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কয়েদ আলী সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আউলাদ হোসেনসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম বলেন, সব ধর্মের মূল্যবোধই সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত।