নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাতৃস্নেহে লালন করা ‘মানিক’কে পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গুলিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে হামিদা আক্তার। প্রতিদিন মানিককে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল ও সময় মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে মানিককে। গরমে বাতাস দিতে আছে ফ্যানের ব্যবস্থাও। গত ৮ বছর ধরে এভাবেই মানিককে পরম যত্নে লালন-পালন করছেন হামিদা ও তার পরিবার।
প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান এমন খবরে অনেকেই হামিদার বাড়িতে মানিককে দেখতে আসছেন। বঙ্গের আলীগড় খ্যাত করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করা হামিদার স্বপ্ন সফল উদ্যোক্তা হওয়া। এ লক্ষ্যে তিনি মনের ভেতরের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাকরি না করে গত ৮ বছর ধরে গরু লালন-পালন করছেন। গত ৮ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের দু’টি গাভী কিনে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে থাকেন তিনি।
জানা যায়, মা গাভী থেকে দু’টি বাছুর জন্ম নিলে তাদের নাম রাখেন মানিক ও রতন। দুই বছর আগে কোরবানির ঈদে রতনকে বিক্রি করতে পারলেও অবিক্রীত থেকে যায় মানিক। গত বছর কোরবানির ঈদে মানিকের কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ৫৪ মণ ওজনের বিশালাকার ষাঁড় মানিককে কোরবানির হাটে নিয়ে বিক্রি করতে চান না হামিদা। তিনি এবার মানিককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দিতে চান। বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারী উদ্যোক্তা হতে সহযোগিতা চাইবেন বলে জানান।
হামিদার বাবা জানান, ছেলে সন্তান না থাকায় ছোটবেলা থেকে মেয়ে হামিদাই তার সব কাজে সহযোগিতা করেছে। হামিদা একদিকে লেখাপড়া করেছে অন্যদিকে তার কাজে হাত লাগিয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে হামিদার মা মারা যাওয়ায় মেয়ে হামিদাই সংসারের হাল ধরেছে।
দেলদুয়ার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শহীদুজ্জামান জানান, বিশাল আকৃতির ওই ষাঁড়টি গত কয়েক বছর ধরে বিক্রি করতে পারছেন না হামিদা। এতে দিন দিন ষাঁড় গরুটির ওজন বাড়ছে। বর্তমানের ওজন প্রায় ২,১০০ কেজি। এমন দানবাকৃতির গরু বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য।