মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

টাংগাইলে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নিয়ম বহির্ভুতভাবে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল শহরের দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খানের নির্দেশে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করছে। এর প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ সনদ পত্র দিয়ে শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বেতন ৩০০ টাকা, অষ্ঠম শ্রেণীর বেতন ৪০০ টাকা, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০০ টাকা। বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২৫ জন, ৭ম শ্রেণীতে ১৬ জন, অষ্টম শ্রেণীতে ৩৯ জন ও নবম শ্রেণীর ১৪ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা।

কয়েক জন এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সব সময় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতো। কয়েক বছর যাবত প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের দুর্ব্যবহারের কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। কখনও টাকার বিনিময়ে আবার কখনও মুখ চেনা প্রভাবশালীদের সন্তানদের উপবৃত্তির কার্ড করে দেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, উপবৃত্তি কার্ড দেয়ার নামে শিক্ষকরা ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী কারো কাছ থেকে ছয় মাসের আবার কারো কাছ থেকে ১২ মাসের বেতন নিচ্ছে শিক্ষকরা। বিষয়টি বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হলে তারা দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক কয়েক জন শিক্ষার্থীকে সনদ পত্র দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার সভাপতি শামীম আল মামুন জুয়েল বলেন, উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন নেওয়ার সুযোগ নেই। কোন বিদ্যালয় ও কোন শিক্ষক বেতন নিলে বিষয়টি অনৈতিক হয়েছে।

অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, উপবৃত্তির কার্ড দেয়ার নামে কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। এছাড়াও উপবৃত্তি পাওয়া কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোন বেতন নেয়া হয়নি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুল আহসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights