মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত টাংগাইলে মাওলানা ভাসানীর ছোট ছেলের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী এই দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছিল, আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছা তাই করেছে টাংগাইলে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা মিছিল মির্জাপুরে টাকার অভাবে দৃষ্টিশক্তি নিভে যেতে বসেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সানজিদার নাগরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়!! নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ শেষ মধুপুরে আশা শিক্ষা কর্মসূচির ত্রৈমাসিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা নাগরপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজিতে একটি সিন্ডিকেট কালিহাতীর এলেঙ্গায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ৪ বিএনপি নেতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাদিকুরের বাড়িতে শোকের মাতম

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাদিকুর রহমানের বাড়িতে এখনও চলছে শোকের মাতম। ছেলের কথা মনে হলেই ছবি বোকে চেপে ধরে কবরের কাছে চলে যাচ্ছেন সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম। ছেলেকে হারিয়ে বিলাপ যেনো থামছেই না এই মায়ের। সাদিকুরের চাচা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন জানান, পিঠ ভেদ করে নাভির পাশে আটকে ছিল একটি বুলেট। শহীদ সাদিকুরের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুরের সীমান্তবর্তী ঘাটাইল উপজেলার ফুলমালির চালা গ্রামে।
সাদিকুর রহমান গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকা উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে মারা যান। সে আব্দুল্লাহপুর এলাকার জামিয়া দ্বিনী ইসলামিয়া মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঘাটাইলের ফুলমালির চালা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই সাদিকুর তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার উত্তরা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই দিন শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সাদিকুরসহ দুই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দিনভর খোঁজাখুজির পর ওই রাতেই বিষয়টি প্রত্যেকের পরিবারকে জানানো হয়।
পরিবারের লোকজন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন থানা ও হাসাপাতালে খোঁজ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জানতে পারেন সাদিকুর মারা গেছেন। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতেই পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে সাদিকুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরের দিন রোবরার সকালে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাদিকুর রহমানের চাচা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, সাদিকুরের পিঠে একটি গুলির চিহ্ন ছিলো। একটি বুলেট পিঠ ভেদ করে নাভির পাশে আটকে ছিল। তৎকালীন ভয়াবহ আন্দোলনের কারণে আমরা থানায় অভিযোগ করার সাহস পাইনি। এ ছাড়া ওর বাবা বিদেশে থাকেন।
সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম বলেন, সাদিকুর বলতো-মা আমি একদিন বড় মাওলানা হবো, তুমি শুধু আমার জন্যে দোয়া কইরো মা। ওরা আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হতে দিলো না (কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি)। কান্নারত অবস্থায় বিলাপ করে বলতে থাকেন- “বন্দুক দিয়া গুলি কইরা আমার বাবারে মারছে। পেট থেকে বন্দুকের গুলিটাও বের হতে পারে নাই। মৃত্যুর সময় আমার বাবা না জানি কতো ছটফট করছে। আমি আল্লাহর কাছে বিচার চাই। আমি বর্তমান সরকারের কাছে এর বিচার চাই। আমার মতো শত শত মায়ের বুক যারা খালি করছে তাদের বিচার করুন।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মজিবর রহমান বলেন, ছেলের জন্য সারাদিন কান্না করে সাদিকুরের মা পাগলের মত হয়ে গেছেন। এসব দেখে আমরা যারা প্রতিবেশী স্বজন আছি, তারা খুব কষ্ট পাই। খুব হৃদয় বিদারক ঘটনা।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights